রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


সু চি’র আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড


প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২২ ০৪:৫৪

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ০৬:০২

ছবি: সংগৃহিত

দুর্নীতির মামলায় মিয়ানমারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি’কে ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রচারে গঠিত ‘ডাও খিন চি’ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে অর্থ হেরফেরের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার শাসিত একটি আদালত সোমবার (১৫ আগস্ট) এই রায় দেয়। তবে ৭৭ বছর বয়সী অং সান সু চি এসব অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন। সেই সঙ্গে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল মিয়ানমারের একটি আদালত দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সূ চি’কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। সু চি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি অভিযোগের মধ্যে একটিতে এই সাজা দেওয়া হয়।

ওই সময় সাজাপ্রাপ্ত মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইয়াংগনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ছয় লাখ ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নিয়েছিলেন সু চি। পাশাপাশি সে সময় সু চির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত ফিও মিন সু চিকে ঘুষ দেওয়ার কথা ‘স্বীকার’ করে জবানবন্দিও দিয়েছিলেন। যদিও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছেন সু চি।

১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান সূ চি। পরবর্তীকালে ২০২১ এর ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি ও তার দলের নেতাদের গ্রেফতার করে ক্ষমতার দখল নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর নোবেল বিজয়ী ও মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারী সূ চি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রায় ১৮টি অভিযোগ আনা হয়। সবগুলো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রায় ১৯০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। সূত্র: আল-জাজিরা, এনডিটিভি।

আরপি /এসএডি-৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top