রাজশাহী বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


হিটলারের বাসা ভেঙ্গে হচ্ছে পুলিশ স্টেশন


প্রকাশিত:
২২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫১

আপডেট:
১ মে ২০২৪ ১৪:৩০

ছবি: এডলফ হিটলার

জার্মানির সীমান্ত সংলগ্ন অস্ট্রিয়ার ছোট্ট এক শহর ব্রাউনাউ আম ইন। শহরটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের আলোচিত এক নাম- এডলফ হিটলার।

১৮৮৯ সালের ২০শে এপ্রিল শহরের প্রধান এক সড়কের পাশে অবস্থিত হলুদাভ রঙের সাদামাটা এক বাড়িতে জন্ম হয় তার। বাড়ির ঠিকানা ১৫ নম্বর সলসবার্গার ভরস্টার্ড। ফ্যাসিবাদের শিকার হওয়া লাখ লাখ মানুষের কথা লেখা আছে তাতে।

সম্প্রতি বাড়িটিকে একটি পুলিশ স্টেশনে রূপ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ান।

খবরে বলা হয়, প্রায় এক শতক ধরে এর মালিক ছিলেন গার্লিন্ডে পমার ও তার পূর্বসূরিরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতি বছর হিটলারের জন্মদিন উদযাপনের জন্য জড়ো হতো নব্য-নাৎসিরা।

১৯৭২ সালে বাড়িটি ইজারা নেয় অস্ট্রিয়া সরকার। বহু বছর ধরে বাড়িটি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি ‘ডে-কেয়ার’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এজন্য প্রতি বছর পমারকে ৫ হাজার ডলারের বেশি করে দিতো সরকার। ২০১১ সালে সরকার বাড়িটি সংস্কার করতে চাইলে ইজারার চুক্তি ভেস্তে যায়। পমার বাড়িটি সংস্কার বা বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না। ২০১৬ সালে আইন পাস করে পমারের কাছ থেকে বাড়িটি দখল করে নেয় সরকার। পমারকে দেয়া হয় ৫০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ। সরকার বাড়িটি ধ্বংস করে ফেলার ঘোষণা দিয়েছিল।

কিন্তু পমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে বসেন। ওই মামলার নিষ্পত্তি হয় এ বছর। মামলার রায়ে আদালত বাড়িটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব টেনে সরকারকে ৯ লাখ ডলার পমারকে পরিশোধ করতে দিতে নির্দেশ দেয়।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাড়িটিকে একটি পুলিশ স্টেশনে রূপ দেয়া হবে। এজন্য স্থপতিদের কাছে বাড়িটির নতুন ডিজাইন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নজুড়ে বাড়িটির নতুন ডিজাইন নির্ধারণ করতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। আগামী বছর থেকে সেটিকে পুলিশ স্টেশনে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্ফগ্যাং পেসচর্ন বলেন, এই স্থাপনাটি ভবিষ্যতে পুলিশের কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করা হবে। আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চাই। এই ভবন থেকে নাৎসিবাদ পুরোপুরি দূর করা হয়েছে।

হিটলারের জন্মের সময় ভবনটির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তারা বাবা-মা। তার জন্মের তিন বছর পর অবশ্য তার বাবা-মা সেখান থেকে অন্যত্র সরে যান। সেটি হয়ে ওঠে একটি জাদুঘর। ১৯৪৫ সালে জার্মান সেনারা ভবনটি উড়িয়ে দেয়ার একটি ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। সেসময় ভবনটিতে অবস্থান করছিল মার্কিন সেনারা।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top