রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


শেষ অবধি লড়বো: ইমরান খান


প্রকাশিত:
১ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০২

ফাইল ছবি

তখত ছাড়তে বিরোধীদলীয় আইন প্রণেতারা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও পাকিস্তানে নিজ দলীয় সরকারের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে অনড় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- শেষ অবধি লড়াই করবেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন ইমরান খান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করবো না, শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করবো।’

ভাষণে অনাস্থা প্রস্তাবকে বিরোধী দলীয় চক্রান্ত উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, বিদেশি হুকুমের সামনে মাথা নত করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেই এই সংকটের উদয় হয়েছে।

ইমরান খান বলেন, আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা। আমি ভাগ্যবান যে, আল্লাহ আমায় খ্যাতি, অর্থ সবকিছু দিয়েছেন। যখন আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমার তিনটি লক্ষ্য ছিল- বিচার সুনিশ্চিত করা, মনুষ্যত্ব ও আত্মনির্ভরতা।

নানা ধরনের হুমকির কথা তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, ‘মানুষ মনে করে এটা একটা নাটক। এটা কোনো নাটক নয়। আমরা যেহেতু আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে চাই, সেহেতু আমরা প্রকাশ করতে পারি না যে- লোকেরা আমাদের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু যখন জনগণ সন্দেহ করে- ইমরান খান তার সরকারকে রক্ষা করতে চাইছে, সুতরাং আমি শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এটি ভাগাভাগি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিদেশি আমদানিকৃত সংকট। এটা বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র। যারা পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করত, শুধুমাত্র ফোন কলে, পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে, তারা সহ্য করতে পারে না যে পাকিস্তানে একটি সরকার দেশের স্বার্থে কোনো সিদ্ধান্ত নিক।

কিছু লোক অনিচ্ছাকৃতভাবে ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে উঠছে বলে দাবি করে ইমরান খান বলেন, আমি মিত্র দলগুলির একজনকে আমন্ত্রণ জানাবো। আমি তাদের বলবো এই দলিলটি আসল। আমি যা বলছি, এটি তার থেকেও বড় ষড়যন্ত্র।

অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে পাকিস্তান আবারও দাসত্ব-দুর্নীতির পথে এগিয়ে যাবে। আর জিতে গেলে ‘নয়া’ পাকিস্তান আরও শক্তিশালী হবে।

পাকিস্তানের বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটি হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদের মতে, অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি আগামী ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ইমরান খান। এমন অবস্থার মধ্যে দলীয় সাংসদদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top