রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


শিক্ষার্থীর সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও শিক্ষক অনুপাতে পিছিয়ে রাবি


প্রকাশিত:
২০ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:২৯

আপডেট:
২১ জানুয়ারী ২০২১ ০২:১৩

ফাইল ছবি

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যায় ঢাবি, জাবি ও চবি তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ইউজিসি এর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসিত চার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে রাবি।

রাবিতে মোট শিক্ষার্থী ৩৮২৯১জন এবং মোট শিক্ষক ১১৫০ জন।

অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ৩৩। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অনুপাত ১ঃ১৬ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১ঃ১৬ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১ঃ২১।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত কমপক্ষে ১ঃ২০ ধরা হয়। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখা গেছে প্রতি ৩৩জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১ জন শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষক অনেক কম রয়েছে। আবার এই শিক্ষকদের একাংশ নিজেদের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ফলে শিক্ষার্থীরা তারা তাদের পূর্ণ সার্ভিস পায় না।তবে যে পরিমান শিক্ষক আছে তারা যদি সম্পুর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ডেডিকেটেড হয় তাহলে সংখ্যার অনুপাতে তা পরিমাপ করা যাবে না বলে মনে করছেন তারা।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, রাবিতে সাম্যতা রক্ষা না করে একটা ইমব্যালেন্স নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে। এখানে কোনো বিভাগে শিক্ষার্থীর তুলনাই অনেক কম শিক্ষক আছে। আবার কোনো বিভাগে বেশি শিক্ষক আছে। ফলে একটা অসঙ্গতি থেকে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীদের ভালো সার্ভিস দেওয়া যায় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক শিক্ষকতা ছেড়ে তো শেয়ার বিল্ডার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই বেশি শিক্ষক থাকলে শিক্ষার্থীদের সার্ভিসটা কিছুটা কভার হয়ে যায়। তবে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের যে রেশিও (১৬:১) সেই রেশিও তে শিক্ষক নিয়োগ হওয়া উচিত এবং ভালো শিক্ষক নিয়োগ হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দিলেই যে শিক্ষার মান বেশি হবে বিষয়টা এমন নয়। আমাদের যে সংখ্যক শিক্ষক আছে যাদের অনেকেই শেয়ার মার্কেটে যায়

আবার কিছু শিক্ষক হাউজ বিল্ডিং সোসাইটির কোনো প্রজেক্টের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ফলে ঐ শিক্ষকের চিন্তা চেতনা কোন দিকে যাবে? তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা যদি সম্পুর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ডেডিকেটেড হয়, ইভোলুশোনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকে তবে সংখ্যার অনুপাতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। পোস্ট আছে বিজ্ঞপ্তিও হয়েছে, নিয়োগ হবে। তখন সেই সংখ্যাটা হয়তো কিছুটা কমে আসবে বলেও জানান এ উপ-উপাচার্য।

 

আরপি / আইএইচ-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top