রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


শীতার্তদের পাশে রাজশাহী কলেজ ‘বুনোদল’


প্রকাশিত:
২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৪

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ২৩:০৬

শীতার্তদের পাশে রাজশাহী কলেজ ‘বুনোদল’

‘খুব ভালো হলো বাবা। রাতে রাস্তা ঝাড় দিই। কতো মানুষ দেখে, কিন্তু কেউ কিছু দেয় না। আল্লাহ তোমাদের ভালো করুক।’ রাজশাহী কলেজ বুনোদলের দেওয়া চাদর পেয়ে কথাগুলো বলেন নগরের ভদরা মোড়ের ঝাড়ুদার হালিমা (৫০)

গতকাল রোববার রাতে বুনোদলের উদ্যোগে রাজশাহী নগরীর ভদরা, রেলগেট, উপশহর এলাকার অসহায় শীতার্ত ৪০ জন মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

নগরের বালিয়াপুকুর এলাকার রহিমা বেগম (৬৫) বুনোদলের কম্বল পেয়ে বলেন, ‘বাবা, কেউ কিছু দেয় না। এই টিনের ঘরে একা থাকি। আগুন পোহাচ্ছি শীতের জ্বালায়। রাস্তার পাশে পড়ে থাকি, কেউই তাকায় না। এই কম্বল পাইয়া খুব খুশি হইছি। আল্লাহ তোমাদের ভালো করবে বাবা।’

কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বুনোদলের কম্বল পেয়ে এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষ আবেগে আপ্লুত হয়ে এসব কথা বলেন। অনেকে কম্বল, চাদর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গায়ে ধরেন। কেউবা শিক্ষার্থীদের গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তাদের জন্য বারবার মঙ্গল কামনা করতে থাকেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চতুর্থবর্ষের শিক্ষাথী তানভীর আহম্মেদ, ফয়সাল আহম্মেদ, আবু সালেহ, সালেম প্রধান, মেহেদী হাসান।

সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানে প্রথম বর্ষে ভর্তির পর থেকেই মানবিক কাজ করার চিন্তা মাথায় আসে। কারণ, কলেজের পরিবেশ আর শিক্ষকদের বন্ধুসুলভ আচরণ আমাদের মুগ্ধ করে প্রতিনিয়ত। হটাৎ ২০১৭ সালে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পর আমরা ভেবেছি, মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। ছাত্র হিসেবে বেশি কিছু করতে না পারলেও অন্তত কয়েক’শ মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। তাই আমরা বছরে সামান্য কিছু কার্যক্রম করে করে থাকি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বন্ধু, সুধীজনের স্বেচ্ছা দানের অর্থে বিভিন্ন সময় এসব সেবামূলক কর্মকান্ড চালানো হয়। আমাদের ছাত্রত্ব শেষের সাথে সাথে এই সংগঠনটিও শেষ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের তৈরি এ অরাজনৈতিক সংগঠন বন্যার্ত, শীতার্ত অসহায় মানুষের সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। বৃক্ষরোপণ, ফ্রি ব্লাডগ্রুপিং, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করে থাকে।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top