রাজশাহী কলেজের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন
তিন দিনের সরকারি সফরে রাজশাহী অঞ্চলে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। সফরের শেষ দিন রোববার রাজশাহী কলেজ পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী। এসময় দেশসেরা বিদ্যাপীঠের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন তিনি।
ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বাবা সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ ছিলেন রাজশাহী কলেজের ছাত্র। হয়তো সে কারনেই নস্টালজিয়া কাজ করছিল তার ভেতরে। পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার ইচ্ছেটা সংবরণ করতে পারেননি তিনি। অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমানের প্রস্তাবে রাজি হয়ে দেশসেরা কলেজের প্রতিটি কোনা কোনা ঢুঁ মারেন মন্ত্রী।
কলেজের হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবন, রোভার স্কাউট অফিস, রসায়ন বিভাগ, ফুলার ভবন, কলা ভবনের সামনের অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। রসায়ন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ক্লাসে বসে পড়েন মন্ত্রী। বসবেনই না বা কেন? একজন রাজনীতিবিদ, কুটনীতিক, অর্থনীতিবিদের বাহিরেও যে একটি পরিচয় আছে তার। আর সেটি হলো আদর্শ মানুষ তৈরীর কারিগর শিক্ষক। দূতাবাসে কাজ করার আগে দেশে বিদেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন মন্ত্রী।
স্মৃতিবিজড়িত শিক্ষাদানের স্মৃতির মাঝে হয়তো হারিয়ে গিয়েছিলেন। খোঁজ নেন বিভাগসহ কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে। কলেজের স্টুডেন্ট সেন্টার্ড লার্নিং মেথড ক্লাসরুম, পাঠ্যক্রম পরিতচালনা, ডিজিটাল ক্লাসরুম, বিভিন্নরকম সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সংগঠন সম্পর্কে শুনে মুগ্ধ হন ড. মোমেন। এসকল কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাজশাহী কলেজের মুগ্ধতা ছড়ানো সবুজ প্রকৃতিতে হারিয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মুগ্ধতা ও ভালোলাগা থেকেই ঘুরে দেখেন ক্যাম্পাসের বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি।
উদ্ভিদবিজ্ঞান ও ইতিহাস বিভাগের সামনে দিয়ে চলে যান কলেজের আরেকটি প্রাচীন ভবন ফুলার ভবনে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ভবনের নির্মানশৈলী ও দৃশ্যপট উপভোগ করেন তিনি। সর্বশেষ ঘুরে দেখেন কলা ভবন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান ভবনের সামনের অংশ। করোনাকালীন সময়েও কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন, এগুলোর দেকভাল ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস দেখে খুশি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কলা ভবনের সামনে তৈরী করা দৃষ্টিনন্দন বসার জায়গা দেখে সময়োপযোগী উদ্যোগের জন্য কলেজ প্রশাসনের প্রশংসা করেন।
রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন শেষে মুগ্ধতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, একটি আদর্শ কলেজ হিসেবে যেসব গুন থাকা দরকার তার সবই রয়েছে এ কলেছে। তিনি বলেন, এটি বড় একটি বিদ্যাপিঠই নয়, এটি একটি শিক্ষাপার্কও বটে। তিনি বলেন, পাঠ্য বইয়ের বাইরের জ্ঞান অর্জনের জন্য এ কলেজে সবকিছু বিদ্যমান।
আরপি/এসআর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: