রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


এখনো ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী টিকা পায়নি


প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০২১ ১৫:২৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১০

সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত টিকা পাননি। বর্তমানে ৪৩ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ লাখ টিকা নিতে পেরেছেন। রেজিস্ট্রেশন করেছেন সাড়ে ১৮ লাখ। এদের মধ্যে অধিকাংশই টিকা নেওয়ার তারিখ পাননি।


অথচ ১৯ দিন আগে জন্মনিবন্ধন সনদধারী (বিআরসি) শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু রোববার পর্যন্ত তাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুরক্ষাডটকমে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় সব শিক্ষার্থীর টিকার সংস্থান ছাড়াই একে একে খুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতোমধ্যে এ ধরনের ৬টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল খুলেছে। আগামীকাল খুলে দেওয়া হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল। আজ বরিশালেরও হল খুলছে। পাশাপাশি রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এভাবে চলতি মাসের মধ্যে প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই খুলে যাবে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর রোববার যুগান্তরকে বলেন, এ মুহূর্তে মূল সংকট হচ্ছে বিআরসিধারী শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর এনআইডি নেই কিন্তু বিআরসি আছে।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষার্থী আছে প্রায় ৩২ হাজার। এখনও জন্মসনদ দিয়ে সুরক্ষাডটকমে নিবন্ধন করার লিংক যুক্ত করা হয়নি। এর বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রচুর শিক্ষার্থীদেরও বিআরসি আছে। তিনি আরও বলেন, আরেকটি সংকট হচ্ছে, বিআরসি করা।

যেসব শিক্ষার্থীর এটি নেই, তারাও ঠিকমতো করতে পারছেন না বলে আমাদের কাছে তথ্য আসছে। সুতরাং এ দুটি ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪৩ লাখ শিক্ষার্থী আছে। এরমধ্যে প্রায় ৪ লাখ পড়েন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন পৌনে ৪ লাখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে আছেন ২৯ লাখ।

বাকিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রাজধানীর সাত কলেজ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লেখাপড়া করেন। দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫১টি আর ৯৯টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২ লাখেরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই; আর বিআরসি নেই অন্তত ৩ লাখের। এখন পর্যন্ত ৭ লাখ শিক্ষার্থী ন্যূনতম এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী এক লাখ ২২ হাজার।

আবাসিক শিক্ষার্থী আছেন ১ লাখ ৩২ হাজার। আর নিবন্ধন করেছেন সাড়ে ১৮ লাখ। ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, এসব তথ্য সংগ্রহে তারা একটি লিংক খুলেছেন। তবে তাতে রেজিস্ট্রেশন খুব একটা হয়নি। তাই বিকল্প পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আংশিক তথ্য সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এনআইডি বা বিআরসি আছে এমন শিক্ষার্থীর তালিকা শেষ করে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তালিকা শেষ করতে পারেনি।

তবে যাদের তালিকা করা সম্ভব হয়েছে তাদের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংক্রান্ত তথ্য জানা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসির সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. ফেরদৌউস জামান যুগান্তরকে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা নেওয়া ছাত্রছাত্রীর সর্বশেষ তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে গত সপ্তাহ পর্যন্ত সাত লাখ শিক্ষার্থী সর্বনিু এক ডোজ টিকা পেয়েছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।

আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সবাই টিকা পাবেন। এজন্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোথাও ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে আবার কোথাও নিকটস্থ হাসপাতালে টিকার ব্যবস্থা করা হবে।

টিকার অগ্রগতি : স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নেওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত ছিল, যেসব শিক্ষার্থীর এনআইডি নেই কিন্তু বিআরসি আছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ওই সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি।

আবার যে তালিকা পাঠানোর কথা ইউজিসি বলছে, তা ৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পৌঁছায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে এই অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, এনআইডিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি।

ফলে তারা শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে পারছেন না। তাছাড়া এনআইডি না থাকলে শিক্ষার্থীদের বিআরসি অনুযায়ী টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা তারা শুনেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনোভাবেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন না।

ঢাবির হল খুলছে কাল : বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, দীর্ঘ ১৮ মাস পর কাল খুলে দেওয়া হচ্ছে সব আবাসিক হল। স্নাতক শেষবর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে হলে উঠতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের হলে তুলতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হল প্রশাসন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে যেসব শিক্ষার্থী এখনো টিকা দেয়নি তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে অস্থায়ী টিকা ক্যাম্প চালু করা হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক হলের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক সংস্কার কাজ করা হয়েছে।

এর মধ্যে আছে, ওয়াশ রুম সংস্কার, পানির লাইন সংস্কার, বিদ্যুতের লাইন সংস্কার, জরাজীর্ণ দেওয়ালের সংস্কার এবং নতুন করে রং করা। এ ছাড়া হলগুলো থেকে গণরুম বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলে থাকতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে আবাসিক হলগুলো সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে উঠতে পারবে।

ঢাবিতে টিকার অস্থায়ী ক্যাম্প : এদিকে আবাসিক হলে ওঠার জন্য একডোজ টিকা নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র পৌনে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা পেয়েছে। আর পৌনে ছয় হাজার ছাত্র সুরক্ষায় নিবন্ধনের পর মেসেজের অপেক্ষায় আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৪৪ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীকে ইমেইল পাঠাতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ছয় হাজার ছাত্রছাত্রীর কোনো তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।

যেসব শিক্ষার্থী এখনো টিকা পায়নি তাদেরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে বিশেষ অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় এই ক্যাম্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। টিকা কার্যক্রম ১৭ অক্টোবর ২০২১ রোববার পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের (দ্বিতীয় ডোজ) টিকা ১ নভেম্বর ২০২১ রোববার থেকে প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যারা ঢাকা শহরের ঠিকানায় নিবন্ধন করেছে তারা কেবল অস্থায়ী ক্যাম্পাসে টিকা নিতে পারবে। যারা ঢাকার বাইরে নিবন্ধন করেছে তাদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে যেতে হবে।

তবে যাদের বিআরসি আছে তারা ক্যাম্পাসে টিকা দিতে পারবে। এই কেন্দ্রে কেবল সিনোফার্ম (ভেরোসেল) টিকা প্রদান করা হবে।

কবে খুলছে কোন বিশ্ববিদ্যালয় : যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আজ সচল হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে হলগুলো খুলবে ১৭ অক্টোবর এবং ক্লাস শুরু হবে ২০ অক্টোবর।

২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। ১৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চালু হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২১ অক্টোবর খুলছে। এর আগে ১১ অক্টোবর হল খুলবে।

এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে আজ। প্রতিষ্ঠানটিতে সশরীর ক্লাস শুরু হবে ২১ অক্টোবর। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে আজ।

আগামীকাল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হবে। সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৭ অক্টোবর।

প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ অক্টোবর হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরে ১৮ অক্টোবর সশরীর ক্লাস শুরু হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাল সশরীরে পরীক্ষা শুরু হবে।

৭ অক্টোবর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) স্নাতক (চতুর্থ বর্ষ) এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হবে।

আর অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হবে ২০ অক্টোবর। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ৭ অক্টোবর খুলবে এবং সশরীর ক্লাস শুরু হবে ১৭ অক্টোবর।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিতে কাল একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে-জানিয়েছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এ ছাড়া ক্লাস খুলতে আজ বৈঠকে বসছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। একই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ অক্টোবর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বসছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ অক্টোবর থেকে হল খুলে দেবে। আর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ১৮ অক্টোবর। শুরুতে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ১৮ অক্টোবর খুলে দেওয়া হবে। আর ২৬ অক্টোবর থেকে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলবে ২৫ অক্টোবর।

এরপর বিভাগগুলোর সিদ্ধান্তে সশরীর ক্লাস শুরু হবে। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ২৮ অক্টোবর খুলবে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা হলে উঠছে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে।

১ নভেম্বর ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ অক্টোবর হল খুলবে। আর ক্লাস শুরু হবে ২৫ অক্টোবর।

জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা চলছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

তবে ইতোমধ্যে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। এগুলো হচ্ছে, ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরপি/ এমএএইচ-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top