রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


রাবিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি


প্রকাশিত:
৮ মার্চ ২০২১ ২৩:৩০

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২১

ছবি: প্রতিনিধি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ঐক্য। সোমবার (০৮ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং লেখক মুশতাক হত্যাকাণ্ড ও কার্টুনিস্ট কিশোরকে অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যারা তৈরি করেছে তারা দেশের মানুষকে বুদ্ধিহীন প্রাণি মনে করেন। আইন করে যদি কোন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান রক্ষা করতে হয়, তাহলে তার সম্মান থাকার কথা নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা একটি আইন যার লক্ষ্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ব্যক্তিক্ষেত্রে ব্যবহার করা।'

তিনি আরও বলেন, 'মুশতাক, কিশোরসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের জন্য আমরা আগেও আন্দোলন করেছিলাম। এই আইনের ফলাফল আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম তাই হচ্ছে। এটাকে এখন আর আইন বলার উপায় নেই।'

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘একটি সুরক্ষার মধ্য থেকে মুশতাক আহমেদ নিহত হওয়া জাতির কাছে একটি বড় প্রশ্ন। আমরা কিশোরের থেকে শুনেছি তার ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। এটি সংবিধান পরিপনি। কারণ সংবিধানে কথা বলার, মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে এই আইনে গ্রেপ্তার, হয়রানি, নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকারের কাছে অবিলম্বে অনুরোধ, এই ধরনের কালো আইন বাংলাদেশের মাটি থেকে চিরতরে কবরস্থ’ করতে হবে।’

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান ইমন বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের মধ্যে ভাবমূর্তি যুক্ত করা হয়েছে; রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সরকারের ভাবমূর্তি, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি তখন কোথায় যায় যখন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ভোট ডাকাতি করে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসে? তখন রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না। রাষ্ট্রের ভাবমূতি বলতে কী বোঝায়? এখনও মানুষ অনাহারে রাস্তায় ঘুমায়, তখন রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রিদম শাহরিয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক এ্যডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন প্রমুখ।

আরপি/ এসআই-৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top