রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

মেয়রের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪২

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৪

ফাইল ছবি

রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ কোটি টাকা দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন একই পৌরসভার কাউন্সিলর মো. একরামুল।

রাজশাহীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ও জেলা দায়রা জজ আদালতে এমন অভিযোগ এনে তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সম্প্রতি মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরের দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা যায়, পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ একই সঙ্গে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিধি-বিধান ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে করে পৌরসভার বিপুল পরিমাণ টাকা আত্নসাৎ করেছেন তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছর থেকে গত ২০২২-২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত প্রতি অর্থ বছরে মোট ২৬ লাখ টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়র টেন্ডার আহবান না করেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া কোটেশন দেখিয়ে ইচ্ছে মতো বিল ভাউচার বানিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। নামে-বেনামে বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে পৌরসভার উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাতেরও। এছাড়া দ্বিতল ভবনের প্রায় শতাধিক ঘর কোনো প্রকার রেজুলেশন ও নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা করেই বরাদ্দ দিয়েছেন পছন্দের ব্যক্তিকে। এতেও প্রায় ৩ কোটি টাকা পৌরসভার কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি। এমনকি ১১ জন পরিছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেখিয়ে তাদের বেতন ভাতা বাবদ অর্থ উত্তোলন করে সেটিও আত্মসাৎ করার অভিযোগ মেয়র শহিদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও কেশরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর মো. একরামুল বলেন, বিভিন্নভাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মেয়র। সেজন্য আইনের শরণাপন্ন হয়ে মামলা করেছি। তার শাস্তি দাবি করছি, যাতে ভবিষ্যতে দেশের কোথাও এ ধরণের ঘটনা না ঘটে।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ। তিনি বলেন, এসব অভিযোগ বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন। আওয়ামী লীগের একটি চক্র এসব করাচ্ছে।

 

 

আরপি/এসআর-১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top