রাজশাহীতে শ্বাসরোধে স্বামী হত্যায় স্ত্রী আটক

রাজশাহীর মোহনপুরে শ্বাসরোধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে কারিমা খাতুন নামের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটলে বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে তাকে আটক করা হয়।
নিহত ওই যুবকের নাম হারুন অর রশিদ (২৫)। তিনি বিষহারা গ্রামের বয়জুল মন্ডলের ছেলে। অভিযুক্ত কারিমা তারই স্ত্রী। সে উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের ভিমনগর পালশা গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, দুই সপ্তাহ আগে হারুনের সাথে কারিমার বিয়ে হয়। তবে কারিমা হারুনকে অপছন্দ করত। ফলে পারিবারিক কলহ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে হারুনকে চেতনা নাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর গলায় ওড়না ও দড়ি চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পূর্বের রাগ থেকেই স্থানীয় কারো সহযোগিতায় কারিমা তার স্বামীকে হত্যা করেছে। হত্যার পর পালানোর চেষ্টা করে সে।
নিহত হারুনের মা জানান, তার ছেলে নিয়মিত রোজা রাখতেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার ছেলেকে সাহরি খাওয়ার জন্য ডেকে তুলতে কারিমাকে বলেন। কিন্ত সে হারুনকে না ডেকে ব্যাগ গুছাতে থাকে। ফলে সন্দেহ হলে হারুনের মা নিজেই ছেলের ঘরে গিয়ে ছেলেকে সাহরি খেতে উঠতে বলেন। তবে হারুন কোনো সাড়াশব্দ না করায় তার পাশে গিয়ে শরীরে হাত দিয়ে অস্বাভাবিক অবস্থা বুঝতে পারেন তিনি। ফলে চিৎকার করতে শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং হারুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। ব্যাগে জিনিসপত্র গুছিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত কারিমা। তবে পালানোর সুযোগ সে পায়নি। অল্প কয়েকদিন আগে হারুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ওসি (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান বলেন, "এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে নিহতের মরদেহ। এছাড়া হত্যার আলামত জব্দ করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট বুঝা যাবে এবং এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।"
আরপি / এমবি-৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: