আইসিইউ বেড পাচ্ছে রাজশাহীর ৪০ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সারা দেশের মতো রাজশাহী বিভাগেও প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ বেড দেওয়া হচ্ছে রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলার ৪০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর জানায়, বগুড়ার ১১, পাবনার ৮ ও নাটোরের ৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া বাকি ছয় জেলার ৪০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত একটি করে আইসিইউ বেড সংযোজন করা হবে। জেলার সদর হাসপাতালগুলোতেও যাবে আইসিইউ বেড। এবং যেসব হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা রয়েছে, সেগুলোতেও বাড়বে বেড সংখ্যা।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, করোনা চিকিৎসায় খোলা রয়েছে দশটি ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল। সবমিলিয়ে সাধারণ বেডে রোগী ভর্তি করা যাবে ৫৮১ জন।
এছাড়া করোনা চিকিৎসায় চারটি হাসপাতালে জরুরী আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র ৫১টি। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান (শজিমেক) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩টি, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮টি এবং টিএমএসএম হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এর বাইরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০টি আইসিইউ বেড আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১২৪টি আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠিয়েছে বিভাগীয় সাস্থ্য দফতর। এর বাইরেও শজিমেক হাসপাতালে ২০টি এবং রামেক হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া রাজশাহীর ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০টি, সেখানকার চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি, নওগাঁ সদর হাসপাতালে ১০টি, জেলার ১০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৫টি, সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ১০টি, জেলার আরও আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুটি এবং জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০টি মনিটরসহ আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী।
তিনি বলেন, রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়াতে হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করার পাশাপাশি আইসিইউ এর সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।
এবিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, কয়েকদিন ধরেই তারা বিভাগের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখেছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ছয় মাসের একটি চিকিৎসা পরিকল্পনা নিয়ে এসব চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন।
আরপি / এমবি-১১
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: