রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


নওগাঁর ধামইরহাটে ডিএপি সারের কৃত্রিম সংকট, দিশেহারা কৃষক


প্রকাশিত:
১৯ আগস্ট ২০২০ ০১:১০

আপডেট:
১৯ আগস্ট ২০২০ ০১:১২

ছবি: সংগৃহীত

ভরা মৌসুমে মাঠে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক। অন্যদিকে প্রায় একমাস যাবত ডিএপি সারের কৃত্রিম সংকটের কারণে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ কৃষকেরা হয়ে পড়েছেন দিশাহারা। ইম্পোর্টারদেন কারসাজিতে চায়না থেকে আমদানি করা সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় তালিকাভুক্ত ১২ টি সারের ডিলার রয়েছে। আমন ধান চাষের ভরা মৌসুমে সরকারের বেঁধে দেওয়া প্রতি বস্তা ডিএপি সার আট শত টাকা দরে বিক্রয় করার কথা থাকলেও সার সংকটের কারণ (বরাদ্দ নেই) দেখিয়ে চড়া দামে ডিএপি সার বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এবার আমন ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সুধীজন।

মাঠ পর্যায়ে সাধারণ কৃষকদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সার মজুদ করে কৃত্তিম সংকট দেখিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য চড়া দামে নয়শত থেকে হাজার টাকায় ডিএপি সার বিক্রি করছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক মোশারফ হোসেন, রেজোয়ান হোসেন ও সাংবাদিক মোতাররফ হোসেন মুকুল বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া ডিএপি সারের মূল্য আটশ টাকা ঘোষণা করা হলেও আমাদের নয়শ থেকে হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। কৃষকের সুবিধার্থে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে ডিএপি সারের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

মুঠোফোনের মাধ্যমে ধামইরহাট পূর্ব বাজারের সার ডিলার কামরুজ্জামানের কাছে ডিএপি এক বস্তা সার চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, শুধু ডিএপি সার বিক্রি হবে না সাথে ইউরিয়া সারও নিতে হবে।

টিএনটি মোড়ে সার ব্যবসায়ী আবুল ট্রেডার্সের আব্দুল্লাহ আল মামুন সার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, যেখানে আমরা ৩০০-৪০০ বস্তা সার বরাদ্দ পেয়ে থাকি সেখানে এবার মাত্র ২৫০ বস্তা ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছি যা এক সপ্তাহে শেষ হয়ে গেছে। ইমপোর্টারদের ও বিভিন্ন হাতবদলের কারণে সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, ধামইরহাটে ডিএপি সারের কোন ক্রাইসেস নেই। সরকারিভাবে ডিএপি সারের দাম কমানোর কারণে সাধারণ কৃষক ইউরিয়া সারের পরিবর্তে ডিএপি সার জমিতে বেশি করে দিচ্ছে। সে কারণেই আমাদের নির্দিষ্ট বরাদ্দের উপরে একটু চাপ পড়লেও সারের কোনো ঘাটতি নেই।

তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে প্রতিটি ডিএপি সারের বস্তা বিক্রয় মূল্য আটশত টাকা। আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি কোনো ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করেলে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top