এক যুগ পর বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তান
২০০৯ থেকে ২০২২, সময়ের ব্যবধানটা ১৩ বছরের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জয়ের পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তান দলের তেমন কোন বড় সাফল্য নেই। তবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দীর্ঘ সময়ের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে বাবর আজমের দল।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সূচনা করে পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। উদ্ধোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে তোলেন হার না মানা ১০৫ রান।
১৩তম ওভারে নিজের অর্ধশতক পূরণ করে বাবর ফিরে গেলে কিছুটা আশার আলো দেখে কিউইরা। তবে আরেক ওপেনার রিজওয়ান এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন। জয়ের প্রহর গুনতে থাকা পাকিস্তান শেষ দিকে 'আনপ্রেডিক্টেবল' খ্যাতির মঞ্চায়ন করেছিল। ২০ বলে ২১ রান যখন প্রয়োজন সেই সমীকরণে রিজওয়ানের সাজঘরে ফিরে যাওয়ায় তৈরি হয়েছিল শঙ্কা।
তবে তরুণ ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসের ৩০ রানের ইনিংসে ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাবর আজমরা। আর তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইউনুস খানের শিষ্যরা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান কিউই ওপেনার। আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দিলেও পরের বলেই আউট হয়ে যান অ্যালেন। দ্বিতীয় বলে লেগ বি ফোরের ফাঁদে পড়েন এ ডানহাতি ব্যাটার।
আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন তিনি। আম্পায়ার ইরাসমাসের দেওয়া সিদ্ধান্ত রিভিউতে পরিবর্তন করতে হয়। ফলে জীবন পান অ্যালেন। তবে তা আর কাজে লাগাতে পারেন নি তিনি।
আফ্রিদির করা পরের বলেই আবারও লেগ বি ফোরের ফাঁদে পড়েন এ ওপেনার। দ্বিতীয় বলের মত এবারও তিনি রিভিউ নেন। তবে এ যাত্রায় শেষ রক্ষা হয় নি। সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে হারায় নিউজিল্যান্ড।
দলের হাল ধরতে গিয়ে উল্টো আরো বিপাকে পড়ে তাসমান পারের দেশটি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের শিকার হন কিউইদের হয়ে এই বিশ্বকাপে শতক হাঁকানো গ্লেন ফিলিপস। এ ডানহাতি ব্যাটারের বিদায়ে দলীয় ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেছেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেল। তাদের ৬৮ রানের জুটি বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত মিচেলের অর্ধশতকে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের পুঁজি পায় ট্রেন্ট বোল্টরা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পান শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত অর্ধশতকের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন রিজওয়ান। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ থেকে নির্ধারণ হবে পাকিস্তানের ফাইনালের প্রতিপক্ষ।
ক্রিকেট বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখার সম্ভাবনা দেখছে সমর্থকেরা।
আরপি/এসআর-০৭
বিষয়: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: