ছাত্রলীগ থেকে শোভন-রাব্বানীর বিদায়

ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অপসারণ করা হয়েছে।তার পরিবর্তে প্রথম সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রথম যুগ্মসাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।গত রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মাদক সেবন, চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়। সেগুলো তদন্ত করে সত্যতা মেলে। এ ঘটনায় ব্যাপক বিরক্ত ছিলেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের এ দুই শীর্ষ নেতাকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অপকর্ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল সেই বার্তা দিয়েছেন।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ঘটনার জন্য আমার অর্জন যেন ব্যাহত না হয়। আওয়ামী লীগে ক্যাডার পলিটিক্সের কোনো স্থান নেই। যারা ক্যাডার পলিটিক্স করছে এবং ক্যাডারদের মদদ দেবে তাদের স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। যারাই দাম্ভিকতা দেখাবে, মানুষকে কষ্ট দেবে, সরকারের সুনাম নষ্ট করবে তাদের এক চুলও ছাড়া হবে না। অপরাধীকে আমি ছাড় দেব না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সবার সঙ্গে সহনশীল আচরণ করতে হবে। বিশাল বহর নিয়ে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। আপনাদের হোন্ডাবহরের কারণে মানুষ যেন কষ্ট না পায়। মানুষ যেন পেছন থেকে কোনো কথা না বলে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যারা মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে আমি তাদের ছাড়ব না। 

 

আরপি/ এএস

---