বিএনপি-জামায়াত অপতৎপরতা করলেই দাঁতভাঙা জবাব: মেয়র লিটন

বিএনপি-জামায়াত অপতৎপরতা করলেই দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রোববার (৩০ জুলাই) বিকেল রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিটন এসব কথা বলেন।

এরআগে, বিকেল ৫টায় নগরীর রাণীবাজারস্থ খায়রুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রতিবাদ সমাবেশে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা যদি মনে করি রাজপথে কোনো বিরোধী শক্তি থাকবে না, তাহলে পুলিশ লাগবে না। আমাদের ছাত্রলীগের, যুবলীগের ভাইয়ের তাদেরকে রাজপথ থেকে উৎখাত করতে পারবে। এটি অতীতেও প্রমাণিত হয়েছে, আবারো প্রমাণিত হতে পারবে।

বিএনপিকে সতর্ক করে মেয়র লিটন বলেন, আর একদিন পর আগস্ট মাস। যে মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ঢাকায় বসবাসরত তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস, আমরা শ্রদ্ধার সাথে পালন করি। এই আগস্ট মাসে বিএনপি যদি কোনো রকম অপতৎপরতা করে, আমরা দাঁত ভাঙা জবাব দেবো।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লিটন বলেন, সম্প্রতি ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হয়ে গেল। এই নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে তার একটা রির্হাসেল দেখলেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। আমরা দেখাতে পেরেছি বিএনপি ছাড়াও বাংলাদেশে নির্বাচন হয়।

উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে নির্বাচনে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে না। সেখানে রাজশাহী সিটির ভোটের হার ছিল ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ। অন্য চারটিতেও ভোটের হার ছিল ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। এতে প্রমাণ হয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে চায়। নানাভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে, প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো, ভোট দিতে নিষেধ করা ইত্যাদি তারা না করলে ভোট ৬০ শতাংশের বেশি হতো বলেও উল্লেখ করেন নবনির্বাচিত রাসিক মেয়র।

রাসিক মেয়র বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম আজকে সঠিক ইতিহাস দেখতে পেয়েছে। তার প্রমাণ ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে লক্ষ লক্ষ তরুণরা যোগ দিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা আবারো জয়যুক্ত হবো ইনশাল্লাহ। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের ধারাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না উল্লেখ করে লিটন বলেন, যারা আন্দোলনের নামে নাটক করে, গতকালও নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আপনারা এভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে পারবেন না। কারণ আপনারা আগামীকালও একটি কর্মসূচি দিয়েছেন। সেই কর্মসূচিও বাংলার জনগণ মোকাবেলা করবে।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টুর সঞ্চালনায় এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক ফিরোজ কবীর সেন্টু সহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরপি/এসআর

---