`আওয়ামী লীগ যা ওয়াদা করে তা রাখে'
গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নতি হয়েছে তা অনেকেই স্বীকার করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে তা রাখে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেই জনগণ তার সুফল পাচ্ছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এই সভায় সভাপতিত্ব করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
যৌথসভায় মুখে মুখে দুর্নীতির কথা না বলে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত তারাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। শুধু দুর্নীতির কথা বললে হবে না, প্রমাণ দিতে হবে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার দেশেবাসীর কাছে উপস্থাপন করে এবং সবসময় তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের যে আমুল পরিবর্তন হয়েছে তা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। নানা ধরনের কথা রটায় কিন্তু মুলত একটা পরিবর্তন যে এসেছে মানুষের জীবনযাত্রায় আর তাছাড়া রাস্তা-ঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারতো আমরা প্রভূত উন্নতি করেছি। তারপরও এসব উন্নতিও অনেকে চোখে দেখেও না দেখার ভান করে, স্বীকার করতে চায় না, করতে চাইবেও না। কিন্তু যেটা আমি সবসময় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে সে ওয়াদা রক্ষা করে।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে আমরা ঘর করে দিচ্ছি, আমাদের কথা ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালাব, সেটাও আমরা পেরেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এর মধ্যে দারিদ্রের হার অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এই হার আরও ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।
দেশের কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শুধু মুখে দুর্নীতির কথা বললেই হবে না, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখন এমন লোকেদের কাছে দুর্নীতির কথা শুনতে হয় যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাদের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করতে গিয়ে গরিব মানুষের ওপর এমন চাপ, যাদের সুদ দিতে গিয়ে ঘর-বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলেই যেতে হয়েছে অথবা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এই গরিব মানুষের টাকা দিয়েই বিদেশে নামধাম করে তারা ভালোই আছে, প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগও করছে। এই টাকাতো গরিবের রক্তের কামানো টাকা, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
আরপি/এসআর
বিষয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-2021-02-04-13-35-01.jpg)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: