‘একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করে যাচ্ছেন। তিনি অচেনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছেন। অসহায় শিশু-কিশোরসহ সকল জনগোষ্ঠীর মানুষকে উন্নয়নের মূল প্রবাহে আনতে কাজ করছে সরকার। শিশুদের আগামীর ভবিষ্যত নিশ্চিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। 

বুধবার (১৫ জুন) রাজশাহীতে সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভাগীয় পর্যায়ের আন্ত:প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়ায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীতে যা সুন্দর তা কখনও থেমে থাকে না, বাংলাদেশও থেমে থাকেনি। সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে উন্নয়নের দীপশিখা জ্বালিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজকের শিশুরা আগামীর সম্পদ উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, শিশুদের মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের সরকারি শিশু পরিবারগুলোতে এতিম, দুস্থ ও অসহায় শিশুরা বেড়ে উঠছে। শিশু পরিবারগুলোর পরিবেশ আরও উন্নত ও আধুনিক করা হবে। সেই লক্ষ্যেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানবতার মাতা, আসলে সকলের চিন্তাই তিনি করেন।

মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতি কখনও পরাজিত হয় না। পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল। তারা বিজয়ী হতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। দেশের ১৮ কোটি মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একত্রিত হয়েছে। কেউ উন্নয়নের গতি রোধ করতে পারবে না।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী, ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের আন্ত:প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২২ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে মন্ত্রী রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা থেকে আগত শিশু পরিবারগুলোর শিশুদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।

এর আগে বেলা ১১টায় মন্ত্রী ৮টি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট শান্তি নিবাস স্থাপন প্রকল্পের আওতায় বায়া শিশু পরিবারে রাজশাহী কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিকেলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বায়ায় শিশু ও মহিলাদের নিরাপদ হেফাজত কেন্দ্র (সেফ হোম) পরিদর্শন করেন।

 

আরপি/এসআর

---