রাজশাহী বুধবার, ১৬ই অক্টোবর ২০২৪, ১লা কার্তিক ১৪৩১


জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৮ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২০ ২২:২৫

আপডেট:
১২ জুলাই ২০২০ ২২:৪৯

প্রতীকী ছবি

দেশে জুন মাসে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছেন ৫১৮ জন। একই সময় রেলপথে ২০টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত, ৬০ জন আহত ও ১০ জনের নিখোঁজ সংবাদ পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পাঠানো পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬২ জন চালক, ১২৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ১১৩ জন পথচারী, ৬২ জন নারী, ৫৭ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ২১ জন বিজিবি, ১৮ জন আনসার, ১৩ জন পুলিশ ও পাঁচজন সেনাবাহিনীর সদস্য, ২৮ জন শিশু, ২৩ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাতজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা ও একজন প্রকৌশলীর পরিচয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

এরমধ্যে নিহত হয়েছেন ১১৬ জন চালক, ৯৮ জন পথচারী, ৪৯ জন নারী, ৪৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ২১ জন শিশু, ১৯ জন ছাত্র-ছাত্রী, আটজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাতজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন প্রকৌশলী, পাঁচজন পুলিশ ও দু’জন বিজিবি সদস্য।

এসময় সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৩৪ দশমিক নয় শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১২ দশমিক এক শতাংশ বাস, নয় দশমিক ২৪ শতাংশ নছিমন-করিমন, আট দশমিক ১১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, সাত দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, চার দশমিক ৩৪ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ জুন। এদিন মোট ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১০ জুন। এদিন আটটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।

মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ১২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ খাদে পড়ে, সাত দশমিক ৫৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, এক দশমিক ১২ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ ও শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পরিসংখ্যানে দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মাসে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ছয় শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়া সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, এক দশমিক ৯৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরে ও এক দশমিক ১২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।

মে মাসের তুলনায় বিগত জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। নিহত ৫৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও আহতের হার ৪৩ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি ও জবাবদিহীতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। সরকারের আন্তরিকতা ও বিগত নির্বাচনে রাজনৈতিক অঙ্গিকার থাকলেও বর্তমান সরকারের দু’টি বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পদ্ধতি ঢেলে সাজানো ছাড়া সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

 

আরপি/আআ-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top