রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


চাকরি গেল বিএনপি আমলের সেই ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৩২

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৪৭

সংগৃহিত

উচ্চ আদালতের রায়ের পর এবার চূড়ান্তভাবে চাকরি হারালেন বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৮৫ কর্মকর্তা।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি মঙ্গলবার জানা গেছে।

এর আগে ২০০৫ সালে নিয়োগ ও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মূল্যায়ন পরীক্ষার পর নিয়োগ বাতিল হয় ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার। পরে ২০১০ সালে ওই কর্মকর্তাদের চাকরি পুনর্বহাল করতে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

এতে বলা হয়, আপিল বিভাগের সিভিল আপিল নং ২১/২০১১, ২২/২০১১, ২৩/২০১১ ও ২৪/২০১১ এর ১-৯-২০২২ তারিখের রায়ের প্রেক্ষিতে ১৩ মে ২০১০ তারিখে পুনর্বহালের আদেশটি বাতিল করা হয়। আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এ প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরর সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

ইসিতে ২০০৫ সালে ৩২০ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিয়োগ দলীয় বিবেচনায় হয়েছে বলে সমালোচনা হলেও তৎকালীন কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ২০০৭ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ইসিকে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে।

ওই সময় এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ৩২০ কর্মকর্তার যোগ্যতা মূল্যায়নে পরীক্ষা নেয়। এতে ৮৫ কর্মকর্তা পাশ করতে না পারায় তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়। পরে ওই কর্মকর্তারা আদালতে গেলে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল আদালত ২০১০ সালে ১২ এপ্রিল তাদের পুনর্বহাল করতে বলেন। আদেশের পরদিন ১৩ মে ৮৫ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ৪টি লিভ টু আপিল করলে ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল এর কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। এছাড়া আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এরপর শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল আদালতের আদেশটি বাতিল করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। এর প্রেক্ষিতে ইসি চূড়ান্ত এ পদক্ষেপ নিল।

আরপি/ এসএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top