রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


স্কুল খোলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গও সিদ্ধান্তহীনতায়


প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২০ ১৮:০২

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৭

ফাইল ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এড়াতে দেশে দেশে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশেও। কবে নাগাদ এসব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এখনো স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত জুলাইয়ের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলা হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে যেতে হবে না। একদিন অন্তর ক্লাস করতে হবে।

তবে পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। সুস্থতার হার বেড়েছে, তবে মোট আক্রান্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে কবে নাগাদ স্কুল খুলে দেয়া হবে তা নিয়ে রাজ্যের তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শিক্ষার্থীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে রাজ্য যে স্কুল খোলার পক্ষপাতী নয়, তা আরও স্পষ্ট হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কারোর প্রাণের বিনিময়ে শিক্ষা হতে পারে না। স্কুল কবে খুলবে, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

তবে স্কুল খোলা না থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে ক্লাস বেশ জোরেশোরেই চলছে। নবম ও দশম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবশেষ এক সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরেও স্কুল খোলার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর।অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেছেন, কবে নাগাদ স্কুল খুলবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার ওপর এটি নির্ভর করছে বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে অষ্টম শ্রেণির শেষে জেএসসি বা জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষায় চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকেই আনুষ্ঠানিক লকডাউন শুরু হয়। স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয় ১৭ মার্চ থেকে।

মে মাসের শেষে এসে লকডাউন তুলে দেয়া হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ওই দুটি পরীক্ষা আয়োজন থেকে পিছিয়ে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কবে পরীক্ষা হবে তবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এটাও নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, যে মুহূর্তে মনে হবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা মোটামুটি নিরাপদ তারপর এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হবে। পরীক্ষার ১৫ দিন আগে শিক্ষার্থীদের তা জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

আরপি/আআ-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top