রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রতি বিভাগে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৯ মার্চ ২০২০ ০৫:২২

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৭

ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার করতে প্রতি বিভাগে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

একইসঙ্গে বেশি মানুষ কোয়ারাইন্টাইনে রাখার প্রয়োজন হলে ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানও প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে করোনা 'ভাইরাস মোকাবিলায় করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন বলে মন্ত্রণালয়টির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, খুব দ্রুতই দেশের আট বিভাগে নতুন করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে। ইউনিটগুলো স্থাপনের ফলে প্রতিটি বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার হবে। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের কারণে বেশি মানুষ কোয়ারাইন্টাইনে রাখার প্রয়োজন হলে ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানও প্রস্তুত করা হবে।

ঢাকার বাইরে বিদেশফেরত যাত্রীরা কোয়ারাইন্টানের নিয়ম না মানার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশফেরত প্রতিটি ব্যক্তিকে কোয়ারাইন্টাইনে ১৪ দিন থাকার সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মের ব্যত্যয় হলে দেশের সংক্রামক রোগের নির্ধারিত আইনে আইনানুগ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জোরালো ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন।

সভায় দেশের চিকিৎসকদের প্রটেকশনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছয় হাজার বিশেষ গাউন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সভায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনা বিষয়ে অবগত হতে নতুন একটি ইমেইল আইডি ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (রবফপৎ, ঈঙঠওউ-১৯ ঈড়হঃৎড়ষ জড়ড়স) খোলার কথা জানিয়েছেন।

এছাড়া সরাসরি যোগাযোগের জন্য ১৭টি হটলাইন খোলা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ৩৩৩, ১৬২৬৩, ০১৫৫০০৬৪৯০১, ০১৫৫০০৬৪৯০২, ০১৫৫০০৬৪৯০৩, ০১৫৫০০৬৪৯০৪, ০১৫৫০০৬৪৯০৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

আরপি/ডিজে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top