রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


চাকরিতে বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবি


প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৪৪

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৭

ছবি: সংগৃহীত

সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করাসহ চার দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ নামে চাকরিপ্রার্থীদের একটি সংগঠন।

আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন প্রায় পাঁচ শতাধিক চাকরিপ্রার্থী।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করে নিয়োগ পরীক্ষার মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করা, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা, সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।

এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁয় নাই,’ ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন,’ ‘দাবি মোদের একটাই, বয়সসীমা বৃদ্ধি চাই,’ ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁয় নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

তারা বলেন, ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৬০ বছরে উন্নীত করা হয়।

কিন্তু সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ১৯৯১ সালে যখন গড় আয়ু ৫৭ বছর ছিল, তখন শেষবারের মতো ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়।

এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৮ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হলেও বৃদ্ধি হয়নি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও বিসিএস স্বাস্থ্য, জুডিশিয়ারি ও বিদ্যমান কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী বয়স বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।

আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ২০১৮ সালে আপনাদের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কিন্তু চরম দুর্ভোগে দীর্ঘ সেশনজট ও করোনোয় প্রায় ২ বছরের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া চরম বাস্তবতারও ৩ বছর পূর্বের ছাত্র সমাজকে দেওয়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ইশতেহারের বাস্তবায়ন যুব সমাজের প্রাণের দাবি।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি ৭৫ বছর বয়সেও নানান অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে পারেন, আমাদের কেন ৩০-এর শেকলে বন্দি রাখছেন? আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের করুণ অবস্থার কথা জানতেন তিনি ব্যবস্থা নিতেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আমাদের এই যৌক্তিক দাবি পোঁছে দেওয়ার কেউ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার সন্তান, আমাদের বাঁচান।

 

 আরপি/ এমএএইচ-৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top