রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


আল্টিমেটাম রেখেই কর্মসূচি প্রত্যাহার কাদের মির্জার


প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:১৬

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১১:১৩

ছবি: কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা ঘেরাও ও হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার (১৭ ফেব্রয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি থানার সামনে উপস্থিত হয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দাবি আদায় না হলে আগামীকাল অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেন তিনি।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, সচিব নিয়োগ পরীক্ষায় নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ২০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। তাই জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। এমপি একরাম ও নিজামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। আজকে যদি দাবি না মানে তাহলে আগামীকাল অর্ধদিবস হরতাল। এরপরও দাবি আদায় না হলে পরশু দিনব্যাপী পুরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবদুল কাদের মির্জা ফেনীর দাগনভূঁইয়া ও চট্টগ্রামে তার ওপর হামলা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বসুরহাট রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন। যাতে তিনি ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীসহ দাগনভূঁইয়া ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে উপজেলার টেকের বাজারে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে একটি সমাবেশ করেন চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম। কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। সমাবেশ শেষে সেখানে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়।

সমাবেশের খবরে কাদের মির্জার একদল সমর্থক টেকের বাজারে যান। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ফখরুল ইসলামকে আটক করেন। এ সময় সমর্থকরা পুলিশের কাছ থেকে ফখরুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাদের মির্জা রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ও কোম্পানীগঞ্জের ওসির প্রত্যাহারের দাবি জানান। পাশাপাশি সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে বুধবার কোম্পানীগঞ্জে হরতালের ডাক দেন।

পরে একই দাবিতে রাত সাড়ে ৮টর দিকে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান নিয়ে থানা ঘেরাও ও অবরোধ করেন কাদের মির্জা। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। তবে নেতাকর্মীরা রাতভর থানা অবরোধ করে রাখেন।

 

 

আরপি/এসআর-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top