রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


ফাগুনের আগুনে ভালোবাসা


প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:১৯

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ১৮:০১

ফাল্গুনের প্রথম দিন আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। গাছে গাছে নতুন ফুল, সবুজ কচি পাতা, পাখির সুর, সব মিলিয়ে প্রকৃতি নতুন সাজে মুখরিত। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার বর্ণিল আভা। গেল বছর থেকেই হাত ধরাধরি করে আসছে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস। বসন্তের রঙে ভালবাসা মিশেছে এসে। এতে উৎসবে এনেছে ভিন্ন আমেজ।

বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে প্রাণচঞ্চলতা। বসন্ত মানেই গাছে গাছে নতুন ফুল। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, ফাল্গুনের প্রথম দিনে ঘরের বাইরে পা দিলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে। মেয়েদের পরনে বাসন্তি শাড়ি, তার সঙ্গে মিলিয়ে হাতভর্তি চুড়ি, কপালে টিপ, আর খোঁপায় হলুদ ফুল।

এদিকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব নগরের ফুলের দোকানে রয়েছে বাড়তি আয়োজন। দোকানগুলোতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ নানান রঙের দেশি-বিদেশি ফুলের বাহার। বিভিন্ন বুটিক হাউজ সেজেছে বসন্তের নানা পোশাকে।

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। উৎসবে এসেছে বাড়তি রঙ। ফলে উৎসবে মেতে উঠবে নগরবাসী। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেতে উঠবে। বাঙালির মনে চলছে বসন্ত আর ভালোবাসা নিয়ে উৎসব-উদ্দীপনা।

বসন্ত মানেই হলুদ রঙের শাড়ি পরে খোঁপায় ফুল গুজে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিবছর ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হওয়া। ফেব্রুয়ারি মাস আসার আগেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ি- বসন্তে কি রঙের শাড়ি পরব তা নিয়ে।'

'বসন্তের দিন প্রথম যে কাজটা সবাই করে- তা হলো শাটলে চড়ে ক্যাম্পাসে যাওয়া। এরপর সারাদিন ক্যাম্পাসের এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো, ফুচকা খাওয়া, কলার ঝুপড়ি ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়া, বিকেলে চা খেতে খেতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। বন্ধ ক্যাম্পাসও তার বাসন্তি রূপ ধারণ করবে না এ বছর।

আবার দায়িত্বকেই উৎসব মনে করছেন নগরবাসীকে নিরাপত্তার চাদরে রাখা পুলিশ সদস্যরা। তারা বলছেন, শুধু বসন্ত কেনো, যেকোনো উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দায়িত্ব বর্তায় তাদের কাঁধে। ফলে ৮/১০ জনের মতো তাদের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা থাকে না। উৎসবে আসা মানুষদের সঙ্গে নিয়েই কাটে দিনটি।

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস একসঙ্গে পালন করতে মুখিয়ে আছে নগরবাসী। তাদের নিরাপত্তা দিতে সকালে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে বের হব। আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা নেই। নগরবাসীর উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারাই আমাদের উৎসব।'

এদিকে করোনাকালেও অনেক সংগঠন আগের ঐতিহ্য মেনে বসন্তবরণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে।এছাড়াও নগরের অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে করা হয়েছে বিশেষ আয়োজন।

 

 

আরপি / আইএইচ-০১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top