রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


স্কুল মাঠের হাটু পানিতে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা


প্রকাশিত:
৬ অক্টোবর ২০২১ ২২:১২

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৯:১৩

ছবি: স্কুল মাঠে হাটু পানি

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বল্লভবিষু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয়ে জলাশয়ে পরিনত হয়। মাঠটি পানির নিচে থাকায় স্কুল খুললেও খেলাধুলা ও যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরজমিনে বল্লভবিষু সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে শ্রেণীকক্ষে যাওয়া আসা করছে। শ্রেণীকক্ষে যাওয়া আসার সময় ছাত্রীদের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। ভেজা কাপড়ে তাদের অস্বস্তিতে ক্লাসে বসে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তাদের বাবা মা-বা দাদার কোলে চড়ে বিদ্যালয়ে আসছে।

শিক্ষকরা জানান, মাঠে পানি জমে থাকায় একদিকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না। অন্যদিকে দিনের পর দিন এভাবে ভেজার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, মাঠটি খানিকটা নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে দুই মাস ধরে পানির নিচে ডুবে আছে এবং আরো দুই থেকে তিন মাস এভাবেই ডুবে থাকবে। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হলেও কোনো ফল হয়নি।

সাইদুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, বছরের তিন চার মাস মাঠে হাঁটুপানি জমে থাকে। এতে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারি না। ক্লাসে আসার সময় জামাকাপড় ভিজে যায়।

এ বিষয়ে বল্লভবিষু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছরই বর্ষার মৌসুমে স্কুল মাঠে বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানি বের হবার কোন পথ না থাকায় তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় ধরে মাঠে পানি জমে থাকে। ফলে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া মাঠে পানি জমে থাকার কারণে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

পানি নিষ্কাশনের জন্য গত মাসের ১৪ তারিখে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষকের কাছে লিখিত আবেদন করার পরও পানি নিষ্কাশনের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না শিক্ষা বিভাগ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ বলেন, আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। আগামী মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরা হবে যাতে জরুরীভাবে স্কুলের মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসন করা যায়।

 

 

আরপি/এসআর-১১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top