রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


লকডাউনে ইয়াবা হোম ডেলিভারি দেয় ‘হিরো অনিক’


প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২১ ১৮:৫৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২১

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে নারী পাচারকারী চক্রের টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী মাদক সম্রাট অনিক হাসান ওরফে ‘হিরো অনিক’। তার সঙ্গে আরো ৪ সহযোগীকে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গ্রেফতারের পর হিরো অনিককে র‌্যাবের জেরায় বেরিয়ে এসেছে মাদক কেনা-বেচার চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

‘লকডাউন’কে পুঁজি করে ইয়াবা হোম ডেলিভারি করে আসছিল হিরো অনিক। রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকাসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে সহযোগীদের দিয়ে ইয়াবা পৌঁছে দিত সে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকায় মাদক হোম ডেলিভারি দিত। এ কাজ পরিচালনায় ২০-২৫ জনের গ্রুপ তৈরি করেছিলে সে। সে ওই গ্রুপ তথা মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। শুধু মাদকের ব্যবসাই করতো না অনিক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি ও নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত সে। তার নামে হত্যা, মাদক ও অস্ত্র, ডাকাতিসহ ৯টি মামলা থানায় ঝুলছে বলে জানা গেছে।

এসব তথ্য দিয়ে র‌্যাব কমান্ডার বলেন, অনিকের সংঘবদ্ধ দল মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদক ব্যবসা চালাতো। দলটি হাতিরঝিলে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো। এসব অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই ছিল হিরো অনিকের গ্রুপের সদস্যদের পেশা ও নেশা। তারা আর কিছু করতো না বলে জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, হিরো অনিকের সহযোগীদের কারও কোনো পেশা নেই। তারা অনিকের নেতৃত্বে মগবাজার থেকে হাতিরঝিল এলাকা পর্যন্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। উদাহরণ হিসেবে গত ৪ জুলাই অনিকের সঙ্গে আটক বাকি সহযোগীদের বিষয়ে তথ্য দেন র‌্যাব কমান্ডার।

তিনি বলেন, শহিদুল ওরফে অ্যাম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ছয়টি মামলা, আবিরে বিরুদ্ধে দুটি মামলা, সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক ও ডাকাতির তিনটি মামলা এবং হিরার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশে আঘাত ও চুরির একটি মামলা রয়েছে। ভারতের কেরালায় নারী পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়া টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ছিল হিরো অনিক।

এ বিষয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, টিকটক হৃদয় বাবুর সঙ্গেও হিরো অনিকের সখ্যতা ছিল। হৃদয় বাবুকে বিভিন্ন সময় সে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সহযোগিতা করতো। বিভিন্ন সময়ে হৃদয়কে ইয়াবা সরবরাহ করতো অনিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে হিরো অনিক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top