বাসন্তী রঙে সাজবে না রাজশাহী কলেজ
প্রতি বছর পয়লা ফাল্গুনে বাসন্তী রঙে সাজে রাজশাহী কলেজ। লাল কনক্রিটের ক্যাম্পাসে হলুদ বা বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুল, মাথায় ফুলের টায়রা, আর হাতে কাঁচের চুড়িতে সাজে শিক্ষকা-ছাত্রীরা। আর বাসন্তীর সাজে ছাত্র-শিক্ষকদের গায়েও শোভা পায় বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি।
বাদ যায় না কলেজের কর্মকর্তা কর্মচারিও। দিনব্যাপী ক্যাম্পাস জুড়ে চলে হৈ-হুল্লোড়। এটিই যেন বসন্ত বরণ ঘিরে কলেজের চিরচেনা এক বর্ণিল আয়োজন। তবে এবার বসন্ত আসলেও এমন বর্ণিল বাসন্তী সাজে সাজবে না রাজশাহী কলেজ।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজশাহী কলেজের বসন্ত বরণের সকল কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক।
প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক বলেন, গত মার্চ মাস থেকে কোভিড-১৯ এর জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বসন্ত বরণ উৎসব অন্যান্য বছরের মত ব্যাপক আকারে করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ব্যাপক পরিসরে সমাগম করে সরকারি নির্দেশনাও নেই। তারপরও বাঙালির ঐতিহ্য ও সত্তাকে ধারণ করে আমাদের সঙ্গীত চর্চা কেন্দ্র ও নৃত্য গোষ্ঠীর তত্বাবধানে সীমিত পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পালন করার কথা ভাবা হচ্ছে।
বসন্ত বরণের বর্ণিল আয়োজনে ভাটা পড়ার আক্ষেপ প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, প্রতিবছর পহেলা ফাল্গুন আমাদের কলেজে এক প্রাণ সঞ্চার করে। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি পড়ে বসন্তকে বরণ করি। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় এ বছর আমাদের একত্র হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভীষণ মিস করব এবারের ফাল্গুন, মিস করব বন্ধুদের।
বাংলা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনিকা ইসলাম ও সানজিদা আক্তার বলেন, সবুজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরাজি থেকে পুরনো পত্রপল্লব ঝরে পড়ে নতুন পাতায় জানান দিচ্ছে বসন্তের। ক্যাম্পাস জুড়ে লাল- হলুদ গাঁদা ফুলেসহ হরেক রকম ফুলের সমারহে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এক সাজ সাজ রব। তবে এবার এই সাজ সাজ রব বৃক্ষরাজিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পেলে অন্যান্য বছরের মতো আবার আমরা এই বসন্ত বরণ উৎসব পালন করবো প্রাণ খুলে আনন্দ করবো।
এদিকে, আয়োজন যেমনি হোক এই দিনে প্রানের কলেজে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হবে এটাই অনেক আনন্দের বলে জানান রাজশাহী অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা।
আরপি / এমবি-৯
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: