রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


পাঁচ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


প্রকাশিত:
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৬

আপডেট:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:০০

ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

‘ক্যাম্পাস-হল খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষাজীবন বাঁচান। দেশের ডানে-বামে সব জায়গায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘অস্বাভাবিক’ বুঝানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের জীবন যেমন ঝুঁকির মুখে, তেমনি দিন দিন শিক্ষাব্যবস্থারও অবনতি হচ্ছে।’

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মানববন্ধনে এমনটাই বলছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা আবাসিক হল খুলে ক্যাম্পাসের শিক্ষাকার্যক্রম চালু করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্যাম্পাস ও হল খোলা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার রুটিন মার্চ মাসের মধ্যে দেওয়া, আটকে থাকা পরীক্ষা দ্রুত সম্পূর্ণ করা, সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত ক্লাস (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক) শেষ করা এবং হল ফি মওকুফ ও শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি ৫০ শতাংশ কমানো।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যদি ক্যাম্পাসে করোনা থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ভিসিরা কেন কোয়ার্টারে থাকবেন? তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ভাড়া বাসায় থাকছে না কেন? এদিকে আবাসিক হল না খুলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইতোমধ্যে পরীক্ষাও শুরু করেছে কয়েকটি বিভাগ। একে তো পরীক্ষার ফরম ফিল-আপ, বিভাগের বিভিন্ন ফি ও হল ফি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের, তার ওপর আবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেস ভাড়া করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরাও অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়ছেন। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


বক্তারা আরো বলেন, একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে। অথচ তারা সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আর কোনো এক অদৃশ্য আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। যা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপন্থী। আর শিক্ষার্থী হিসেবে আমরাও লজ্জিত। পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বিভাগ চাইলে পরীক্ষা নিতে পারে। কিন্তু বিভাগের শিক্ষাকদের কাছে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানালে তারা ডিন স্যারদের দেখিয়ে দেন। এরকম নানাভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন করা হচ্ছে। কোনো উপর মহলের দিকে না তাকিয়ে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্যাম্পাস ও হল খুলে না দিলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।

পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মুস্তাফিজুর রহমান, মহব্বত হোসেন মিলন, শাকিল আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আবিদ। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের আরো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

 

আরপি/ এসআই-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top