রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


খুবি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন


প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২১ ২২:৫৫

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫১

খুবি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের শাস্তিস্বরূপ, তিন শিক্ষক ও দুই ছাত্র বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানায়।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সামন্য অংশই ক্লাস-পরীক্ষার অন্তর্ভূক্ত। বাকী টুকু টি-স্টল, আড্ডা, পাঠচক্র, লেখালেখিতে। বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবেই শিক্ষার চর্চা করা হয়। সেখানে ভিন্ন মতের মূল্যায়ন করা হয়। একজন মত দেবেন তার বিপরীতে ভিন্ন মত তৈরী হবে। সেই মতই একসময় জ্ঞান আকারে প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, খুুবিতে যৌক্তিক কিছু কারনকে কেন্দ্র করে কিছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে দাড়িয়েছিল। তাদের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করায় তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এগুলো সবই উদ্দেশ্য প্রণদিত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর চরম জঘন্য একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুবই প্রশাসন। আশা করি তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সে অবস্থান থেকে ফিরে আসবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিব রনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গনতন্ত্রের কথা হয় না, ন্যায্য কথা হয় না। ১৯৪৯ সালে ঢাবিতে যখন বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে ন্যায়ের প্রতিবাদে সঙ্গতি প্রকাশ করেছিলেন তখন তিনিও বহিস্কার হয়েছিলেন। খুবিতেও এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আমরা খুবিতে শিক্ষক ও ছাত্র বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল মৃধার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন পদার্থ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব, ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম ও ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন-ফি কমানো,আবাসনসংকট সমাধান,দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী । শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন তিনজন শিক্ষক । এর জের ধরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দুইজন ও ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ এনে সিন্ডিকেট সভায় তাদের বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top