রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম

শতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীতে ‘রক্তদান কর্মসূচি’ পালন


প্রকাশিত:
৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫৮

আপডেট:
৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহীতে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন এর মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ২ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটায় রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণ ‘বাঁধন’ এর সহযোগিতায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি। রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে বেলা ১১ টায় কমিশনার নিজে রক্তদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

রক্তদান কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে তিনি রাজশাহী পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের রক্তদান সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে। তারা মনে করে যে রক্ত দিলে শরীর খারাপ করে। যাদের এমন ধারণা আছে তারা নিজেরাও জানে যে, ওজন কম, অসুস্থ, নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির রক্ত নেয়া হয় না। তাছাড়া ব্লাড ডোনেট ক্যাম্পেও কন্ডিশন এর মাধ্যমে রক্ত নেওয়া হয়। রক্ত দিলে ৬০ কেজির ওপরে বা সুস্থ যে কোন মানুষ রক্ত দিতে পারে।

শ্রীলংকা ও হংকংয়ের কথা উল্লেখ করে সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেন, শ্রীলংকার লোক তারা শুধু রক্তদানে নয় তারা সবকিছুতে সেবাদানে প্রস্তুত থাকে। হংকং এর বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের চারবার রক্ত দিলে একটি কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে। যা সরাসরি ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে শো করার মাধ্যমে যে কারো জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে পারেন।

হাইকমিশনার রাজশাহী পোস্টকে বলেন, আমরা বিশেষ তিনটি দিনে নানান কমসূচী গ্রহণ করে থাকি।  প্রথমত, জাতীয় দিবসে; দ্বিতীয়ত, ১৫ আগস্ট এবং তৃতীয় দিন হল আজ জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে। আপনাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী। আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে আমরা কিছু একটা করি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে। রক্তদান কর্মসূচি ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এছাড়াও অনেক কর্মসূচি হাতে থাকে আমাদের।

রক্ত প্রয়োজনে নানান সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হন রক্ত লাগলে কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো? নানান সমস্যা থাকে তাদের। বাংলাদেশের রক্ত-দাতাদের জন্য এটা করে আমাদের ভালো লাগছে। কেউ কেউ রক্ত পরীক্ষা করে নিচ্ছে এবং সাথে সাথে কেউ কেউ আবার রক্ত দিচ্ছে। এখানে কোন সংখ্যার বিষয় নয় ১০,২০, ৩০ এবং ৪০ যে সংখ্যায় হোক না কেন সেটাই ভালো হবে এবং আপনাদের জন্য ভালো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী পোস্টকে বলেন, আমি নিজে ২০ বারেরও বেশি রক্ত দিয়েছি। বাঁধনকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমার রক্ত ‘ও পজেটিভ’ যখন দরকার হবে তথন আমারে সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি সহযোগীতা করব।

 

 

আরপি/ এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top