ইবি প্রক্টর যোগদানের প্রথম দিনেই অপসারণের দাবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তৃতীয়বারের মতো প্রক্টর পদে যোগদান করছেন অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। শনিবার সকালে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বরাবর তিনি যোগদানপত্র প্রেরণ করেন। যোগদানের পথম দিনেই তার অপসারণের দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। শনিবার সকালে উপাচার্য অধ্যাপক রাশিদ আসকারীর কাছে তারা এ দাবি জানান।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে, গত ৮ সেপ্টেম্বর(রোববার) এক জরুরী সভায় অধ্যাপক মাহবুবকে প্রক্টর হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পূর্বের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি কয়েকদিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
শনিবার সকালে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত, অছাত্র ও অবৈধ ছাত্রমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যোগদান করেন ড. মাহবুব। কিন্তু, যোগদানের পরপরই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার তার পদ পরিবর্তনের দাবি জানায় ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ না পাওয়া বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা তার অপসারনরে জন্য প্রশাসনকে একদিনের সময়ও বেঁধে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে পদ পরিবর্তন না করলে কঠোর কর্মসূচী দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ড. মাহবুবের নির্দেশে ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট ছাত্রলীগের উপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ, তিনি ক্যাম্পাসে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িত। এছাড়াও তিনি বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অছাত্রদের ক্যাম্পাসে আশ্রয় দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ড. মাহবুবের প্রক্টর হওয়া মানেনা দাবি করে দ্রুত তার অপসারণ দাবি করেন তারা।
তার এ পদে নিয়োগের ব্যপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমরা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে এবং ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি সাধারণ করে অন্তবর্তীকালীন একজন অভিজ্ঞ লোককে প্রক্টর পদে বসিয়েছি। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে সেগুলো তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন।কিন্তু, অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রক্টর পদে বহাল থাকবেন।’
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মাহবুবর রহমান এর আগেও দুই দফায় ৩ বছর ৯ মাস প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এর আগে প্রথম দফায় ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক মাহবুব বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষক সমিতিরও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যাক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরপি/ এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: