সিরাজুম মুনিরার গ্রেফতার ও বহিষ্কারে
বেরোবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা সদ্যপ্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওমীলীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার দায়ে গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় ২৫জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী আজ এক যৌথ বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোবাশ্বেরা জাহান।
শিক্ষার্থীরা হলেন আহসান হাবিব, এলমিনা মনি, নাসির আহমেদ, রক্তিম মিলন, যুগেশ ত্রিপুরা, আলমগীর আলম, রোকসানা পারভীন, রুহুল আমীন,অনুপম রায়,মোবাশ্বেরা জাহান,মনোয়ার হোসেন,কল্যাণ কুমার রায়, কৃষ্ণচন্দ্র রায়, রাজু আহমেদ, কানিজ ফাতেমা, আব্দুল ওয়াদুদ, কোক্যমা মারমা, জিনাত আফরিন, মশিউর রহমান বিশ্বাস, তুহিন মিয়া, কৃষ্ণচন্দ্র বর্মন, সান্তনা রায়, উজ্জল, শাকিলা আক্তার, দিলীপ রায়।
বিবৃতিতে তারা বলেন,আমরা মনে করি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অংশ হিসেবে যেকোন ব্যক্তি তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতেই পারে। লেখাটি কারোকাছে গ্রহণযোগ্য হতে না হলে সেটি নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা যুক্তিতর্ক হতে পারে। যদিও বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সাবেক মন্ত্রীকে নিয়ে মতামতটি দুঃখজনক।
পরে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে লেখাটি সাথে সাথে মুছে ফেলেন এবং দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম, বেরোবি'র বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ ও অতি উৎসাহী কতিপয় শিক্ষার্থী তার ভুলের দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাওয়ার লেখাটি এড়িয়ে গিয়ে বিষয়টিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়।
এমনকি শিক্ষক মুনিরার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, নিয়োগ, ছাত্ররাজনীতি নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিক অনেক কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন। এসব লেখা দেখে ক্যাম্পাসে বর্তমান অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর বিভ্রান্তি হাওয়ার মত।যা আমাদের কাছে স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রনোদিত মনে হয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বেরোবি প্রতিষ্ঠা পর উপাচার্য প্রফেসর ড.আব্দুল জলিল মিয়ার সময় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। দুর্নীতি প্রমান হাওয়ায় উপাচার্যের কারাবরণে বিষয়টি এখন দেশবাসী জানে।
এছাড়াও অতীতে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র বেতন ফি বৃদ্ধি, অনিয়ম-দুর্নীতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিসহ নানা সংকটের বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবারের অনেকেই জানেন।
আমরা লক্ষ্য করেছি সেসব বিষয়ে সিরাজুম মুনিরাসহ বেরোবি প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সচেতন শিক্ষার্থীরা সবসময় সোচ্চার ছিলেন।বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা,গত ১৩জুন ২০২০ শিক্ষক মুনিরার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন দিনের শোকজ নোটিশ দেয়ার শর্তেও প্রশাসন একই দিনে তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা মুক্তির দাবী জানান।
আরপি/এমএএইচ-১০
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: