রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


শপিং না করে অসহায়দের ঈদ উপহার দিলেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা


প্রকাশিত:
২১ মে ২০২০ ০০:২১

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ১৬:০১

ক্যাম্পাসের অসহায়দের সাথে রাবি ছাত্রলীগ নেতা দূর্জয়

ঈদ এলেই কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। সবাই শপিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে ঈদে অন্যের জন্য অল্প সংখ্যক মহৎ ব্যক্তিই কেনাকাটা করেন। তাদেরই একজন তাওহীদুল ইসলাম দূর্জয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

নিজ উদ্যোগে অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি ও জামা-কাপড়সহ নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসের অসহায় নানী, অভাবগ্রস্থ শিশু ও করোনার প্রভাবে কর্মহীন রিক্সাচালক।

এই দুর্যোগকে পেছনে ফেলে নিজ জেলা থেকে অসহায় মানুষের টানে ছুটে এসেছেন রাবি ক্যাম্পাসে। বুধবার (২০ মে) বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ভালোবাসার মানুষগুলোর হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন দূর্জয়।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের করোনা ফান্ড, সামাজিক সহযোগিতার ফান্ডসহ জুনিয়রদের বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা করেছেন রাবি ছাত্রলীগের এই নেতা।

অসহায়দের সহযোগিতা করতে পেরে নিজের ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতা দূর্জয় বলেন, মহামারী করোনার সময় চলে এলো আনন্দের ঈদ। অর্থবানদের জন্য খুশির দিন হলেও অসহায়দের জন্য কষ্টের দিন। যারা মহামারী করোনায় পেটের আহার সময়মতো জোগাতে পারছেন না তাদের তো কষ্টের শেষ নেই। কিন্তু এত কিছুর পরও ঈদে নতুন জামা কিনতে মন চায় সবার। এজন্য ভাবলাম এই সংকটকালে নিজের জন্য মার্কেট না করে অসহায় মানুষগুলোর মার্কেট করার অর্থ ভাগাভাগি করি। তাহলে একজনের আনন্দের চেয়ে এটি বেশি আনন্দের হবে। এই চিন্তা থেকে মানুষের সাথে নিজের আনন্দ শেয়ার করা।

ছাত্রলীগ নেতা দূর্জয় আরো বলেন, সত্যি কথা বলতে আমি নিজেও অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল। তবুও সুযোগ পেলে মানুষদের সাথে আনন্দ ভাগ করতে ভালো লাগে। তাই আমি মনে করি, এই সংকটকালে নিজের জন্য মার্কেট ও বেশি খরচ না করে তার একটি অংশ অসহায় মানুষদের মাঝে ভাগ করে দেওয়াটা সবার উচিৎ। এটি সময়ের সাহসী মানুষের কাজ হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বরত্ন শেখ হাসিনা যখন দেশবাসী কল্যাণে বিভিন্ন উপহার ঘোষণা দিচ্ছেন। সেখানে আমার ঈদ মার্কেট বিসর্জন দিয়ে অসহায়ের মাঝে সেই অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার অস্বাভাবিক কিছু নয়। ছিন্নমূল মানুষের কাছে যখন এই ঈদ উপহার তুলে দিয়েছি, মানুষের চোখে মুখে ভালোবাসার ছাপ দেখেছি। এই মানুষের ভালোবাসার চাইতে বড় উপহার বা পাওয়া আর কি হতে পারে? একজন ছাত্রলীগের কর্মী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক হিসেবে চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। বিশ্বরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনাকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি।

তাছাড়া, একটা ঈদে কেনাকাটা না করলে আমার কোন সমস্যা হবে না। আর এতে শপিংমল বা দোকানেও ভিড় কমবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। ফলে করোনা ভাইরাসে এ অসহায় মানুষগুলো সংক্রমিত হবেনা।

করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার জায়গা থেকে কাজ করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাল ছেড়ে না দিয়ে আসুন সবাই একসাথে লড়াইটা চালিয়ে যাই। ইনশাআল্লাহ একদিন আমরা সফল হবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাবি ছাত্রলীগের এই নেতা।

উল্লেখ্য, গত শীতকালিন সময়েও অর্ধশতাধিক অসহায়ের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

 

আরপি/এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top