রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ইয়ার লস ১০০ জন শিক্ষার্থীর

রাজশাহীতে ৬৬৪ জন নার্সিং শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল ৪৩২ জন


প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩২

আপডেট:
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:০৯

রাজশাহীর বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) শিক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের নার্সিং বেসিক প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে ৬৬৪ জনের মধ্যে ফেল ৪৩২ জন। দ্বিতীয় দফা রিভিউ এ ১০০ জনে দাঁড়ায় ইয়ার লস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ফলাফল প্রকাশের পরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো, ১০ শতাংশ গ্রেজ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ভুল করেছে তাই সাবজেক্ট কমিয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীদের ইয়ার লস বাঁচাতে হবে। ক্যারিঅন পদ্ধতি চালু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ করেছে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে হুমকিতে না ফেলা।

জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকলে কলেজের অধিভুক্ত ১৬ টি নার্সিং কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় রয়েছে ছয়টি। আর রাজশাহীর বাইরে রয়েছে আরো ১১টি। রাজশাহীর জেলার ছয়টি নার্সিং কলেজ হলো, সরকারি নার্সিং কলেজ, ডায়েবেটিক নার্সিং কলেজ, ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ, উদায়ন নার্সিং কলেজ ও র্মীজা নার্সিং কলেজ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ২০১৮ সালের বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানায়, চলতি বছরের গত ২৭ জানুয়ারি বেসিক নার্সিং শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী। সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হয় একই বছরের ৯ জুন। ফলাফলে দেখা গেছে, ফেল করেছে ৪৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ইয়ার লস হয়েছে ১০০ জন শিক্ষার্থীর। এ ফলাফলের প্রতিবাদে চলতি বছরের গত চার আগস্ট রিভিউ করে মেডিকেল ইউনির্ভাসিটি। লিভিউ ফলাফলে মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী পাস করে। যার সংখ্যা ৪১৫ জন। এছাড়া ইয়ার লস করা শিক্ষার্থীা সংখ্যা ১০ জন বেড়ে যায়। এই ফলাফলের প্রতিবাদে আবার রিভিউ করা হয় ৬ আগস্ট। এবার ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ জন। কমেছে ইয়ার লস করা ১০ জন শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এতে করে ইয়ার লস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০ জন।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের ফলাফল প্রকাশে দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই রিভিউ করলে হেরফের হচ্ছে ফলাফলের। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে এক বছর লস হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। শিক্ষার্র্থীরা আরো জানায়, এক বছরে একজন শিক্ষার্থীর প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করতে হবে পড়াশোনর জন্য।

এবিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের ডিন ড. জাওয়াদুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হয়েছে। কোনো দাবি থাকলে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মাধ্যমে লিখিত ভাবে জানাও।

 

আর পি/এমআই 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top