যৌন হয়রানির ঘটনায় নিশ্চুপ রাবির যৌন হয়রানি নিরোধ সেল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের যৌন হয়রানির ঘটনায় নিরব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি নিরোধ সেল। চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীর এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের এক সপ্তাহের বেশি অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগকারী এক ছাত্রী নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে হতাশ। এতদিন হলো অভিযোগ দেয়া হয়েছে , এখন পর্যন্ত আমাদের কাউকে কোন বিষয়ে অবহিত করা হয়নি। অবশ্য আমরা একবার নিজেরা যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান, সেলের সভাপতি নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে শুনলাম সেলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেখি নতুন কমিটি আমাদেরকে কতটুকু সুষ্ঠু বিচার দিতে পারে।
গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রেজিনা লাজকে সভাপতি এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক করে যৌন হয়রানি নিরোধ সেলের নতুন কমিটি ঘোষণা দেন উপাচার্য।
এবিষয়ে যৌন হয়রানি সেলে নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক রুকসানা বেগম বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। মাত্রই আমাদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো সব খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারবো।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মারামারির ঘটনা একদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও যৌন হয়রানির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না কর্তৃপক্ষ। এটা মোটেও কাম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে নারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন নিরোধ সেলে চারুকলা অনুষদের ৩টি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পরবর্তীতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ‘শরীরিক ও মানসিক নিপীড়ন’ এর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর পরিবার।
আরপি/ এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: