উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের এই অগ্রযাত্রাকে যদি ধরে রাখতে হয় তাহলে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন হয়। তিনি আরোও বলেন, আজকে তো ভাষার জন্য রক্ত দিতে হবে না। স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিতে হবে না। গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিতে হবে না। বর্তমানে শুধু একটি বিষয় প্রয়োজন তা হলো- দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
দেশসেরা রাজশাহী কলেজের দুইদিন ব্যাপী এইচএসসি অ্যালামনাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে ১৯৪৭ থেকে ২০২১ সালের প্রতিটি ব্যাচের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন। এটি দেশের সর্বপ্রথম এইচএসসি অ্যালামনাই এবং সর্ববৃহৎ অ্যালামনাই বলে দাবি রাজশাহী কলেজের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি বলেন, শিক্ষা খাতে অনেক বিনিয়োগ করা হচ্ছে এবং আরও বিনিয়োগ বাড়ানো হবে সে লক্ষ্যে র্সকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সেইসাথে শিক্ষকদের পিছনে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির সাথে সাথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমাদের ছেলেদের প্রস্তুত করা। এজন্য রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো দরকার।
জাতীয় শিক্ষা কাঠামোর কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিগত দশ বছরে আমরা সংখ্যা দেখে বিবেচনা করেছি। আমরা চেয়েছি সকলকে শিক্ষার আওতায় আনতে। এখন সময় এসেছে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিতে এবং সেটি বাড়ানোর জন্য কাজ করা।
রাজশাহী কলেজের প্রাক্তণ ছাত্রদের দেশের উল্লেখযোগ্য জায়গাতে অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে ৮ জন এমপি, একজন হুইপ, নির্বাচন কমিশনে ১ জন কমিশনার রয়েছেন। ্এছাড়া এখানে উপস্থিত অনেক সাবেক মেয়রসহ সবাই রাজশাহী কলেজের ছাত্র।
১৯৪৭ সালের ভাষা আন্দোলনে রাজশাহী কলেজের ভ’মিকা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে রাজশাহী কলেজ থেকে মিছিল বের হয়েছে এবং শহীদদের স্বরণে সর্বপ্রথম শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে এখানে।
শতবর্ষী ১৩ কলেজকে সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্স করাসহ প্রচীনতম এ কলেজে ১০ তলা ছাত্রী নিবাস ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণসহ সকল সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী।
রাজশাহী কলেজের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, নাটোর-৪ আসনের এমপি আব্দুল কুদ্দুস, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: