রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


আজীবনের জন্য হারিয়ে গেলো রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যবাহী গাছ ’স্বর্ণকুচি’


প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০২

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৪

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

সামান্য ঝড়ে উপরে পড়েছে রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্য ধারণকারী স্বর্ণকুচি গাছটি। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার সময় দেখা যায় রাজশাহী কলেজের হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবনের সামনের ঐতিহ্য ধারণকারী স্বর্ণকুঠি গাছটি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। কলেজের কর্মচারীদের মতে রাতে ঝড় হাওয়ার সময় উপড়ে পড়েছে এই গাছটি। স্বর্ণকুচি গাছটি ছিল রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যের অন্যতম প্রমাণ। কয়েক যুগের ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী ছিল এই ঐতিহ্যবাহী গাছটি। গাছটি তার সুন্দর্য ও মাধুরতায় মুগ্ধ করে রেখেছিল দেশ সেরা কলেজের ক্যাম্পাসকে। রবিবার থেকে হারিয়ে গেলো সেই সৌন্দর্য। নবাগত শিক্ষার্থীরা আর বিমোহিত হবে না স্বর্ণকুচি গাছের সৌন্দর্যে। তারা আর পাবে না সেই ঐতিহ্যবাহী গাছের ছায়া। এখন শুধু রয়ে যাবে স্বর্ণকুচি গাছের সুমধুর স্মৃতি। গাছটির জায়গায় প্রতিস্থাপিত হবে অন্য কোনো গাছ, হয়তবা সৌন্দর্য ও ছড়াবে বেশি। কিন্তু স্বর্ণকুচি গাছটি উপড়ে পড়লেও সেই গাছের স্মৃতি রয়ে যাবে হাজার হাজার প্রবীণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অন্তরে।

প্রতিবছর গাছটির ডালপালা নিয়ম মাফিক ভাবেই কাটা হত। কিন্তু এ বছর গাছটির ডালপালা বেড়ে উঠেছিল আপন গতিতে। অনেকের মতে সঠিক যত্নের অভাবে, ডালপালা না ঝোড়ার কারণেই সামান্য ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙে পড়ছে ঐতিহ্যবাহী এই গাছটি।
রাজশাহী কলেজের কর্মচারী আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা সকাল থেকে এসেই দেকছি গাছটা পড়ে আছে। মনে হয় রাতে বাতাসের কারণে পড়ে গেছে। প্রতিবছর গাছটি ঝোড়া হত। এইবার ও ঝোড়ার কথা ছিল কিন্তু তার আগেই উপড়ে পড়েছে গাছটি।ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিভা আখতার বলেন, গাছ টা খুব ভালো ছিল, বসন্তের সময় গাছ টার পাশে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তোলা হতো। এখন আর হবে না। গাছ টা অনেক সুন্দর ছিল গাছটা পড়ে যাওয়ায় অনেক খারাপ লাগছে।সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী পলি রাণী বলেন, রাজশাহী কলেজ এ গাছটার ছায়াতে বসে কাটানো আমাদের আনন্দঘন মুহূর্তের স্মৃতি রয়েছে, অনেক পুরোনো এ গাছটি ছায়া ও অক্সিজেন দিতো, গাছটি উপড়ে পড়ে যাওয়াতে আমরা প্রকৃতিগত ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলাম , এমন একটা গাছ তৈরি হওয়া অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

 

আরপি/জেডএফ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top