রাজশাহী কলেজে মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ
![ছবি: রাজশাহী পোস্ট](https://rajshahipost.com/uploads/shares/428944859_1432790590948634_6838574220639259699_n-2024-02-20-23-15-12.jpg)
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, বরকত, সালামরা। ভাষা শহীদদের স্মরণে রাজশাহী কলেজে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে শিক্ষার মাধ্যম, গণমাধ্যমে বাংলার ব্যবহার, স্ট্যাম্প, মুদ্রা প্রভৃতিতে বাংলার ব্যবহার, অফিস আদালতে বাংলার ব্যবহার ইত্যাদি দাবিতেই ছিল ভাষা আন্দোলন।রাজশাহীতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন খুব জোরালোভাবে হতে পেরেছিল, রাজশাহী সরকারী কলেজকে নির্ভর করে। ১৯৪৮ সাল থেকেই রাজশাহীতে শুরু হয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনে তিনজন অধ্যাপক ছাত্রদের উৎসাহিত করেছিলেন। এঁরা হলেন- ড. এনামুলহক, ড. শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী এবং মুহাম্মদ আবদুল হাই।বাংলাভাষা আন্দোলনে তমুদ্দুন মজলিস পালনকরেছিল খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।তমুদ্দুন মজলিস প্রতিষ্টিত হয়েছিল ১৯৪৭সালে,১লা সেপ্টম্বর।১৯৪৭সালের,১৫ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে 'বাংলা না উর্দূ ' নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এর আগে কেউ সাবেক পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা নিয়ে আলোচনা উঠায়নি।
২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে।এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ সম্মিলিত কণ্ঠে গানটি পরিবেশন করা হয়।’ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক ভাষা শহীদদের স্মরণে এ মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। মোমবাতির মাধ্যমে “অমর একুশে” লেখার প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়। শোষকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাতৃভাষার জন্য জ্বলে ওঠা শহীদদের কথাই যেন স্মরণ করে দেয় জলন্ত মোমবাতির শিখা।
মোমবাতি প্রজ্বলনের সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ , ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইয়াসমিন আক্তার শারমিন , বাংলা বিভাগের প্রভাষক মুস্তাফিজুর রহমান , ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম আনসারীসহ শিক্ষার্থীরা।
আরপি/যেডএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: