মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা
এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রসমূহ হল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র, রাজশাহী কলেজ, নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ, রাজশাহী সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি)। পরীক্ষার কেন্দ্র গুলোতে পরীক্ষার আগে থেকেই ভিড় জমায় অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অনেক অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন কেন্দ্র গুলোর সামনে। কেউ করছেন তার সন্তানদের জন্য দোয়া কেউ বা পড়ছেন নফল নামাজ।
ভর্তি পরীক্ষা অটো রিক্সা চালকদের জন্য যেন ঈদের দিন। এই দিন বাহির থেকে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রাজশাহী আসে এবং সঠিক সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হয়, সুযোগ বুঝে অটো রিক্সা চালকরা তাদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিয়ে থাকে।
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী নাজিফা ফেরদৌস অনুভা বলেন , আমি গত তিন মাস থেকে রাজশাহীতে আছি আজকে (শুক্রবার) পরীক্ষার আগে অটো চালকরা অন্য দিনের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে। দশ টাকা ভাড়ার জায়গায় তারা পঞ্চাশ টাকা চায়। আমাদের সঠিক সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে তাই ভাড়া বেশি দিয়েই পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছি। পরীক্ষার আগে অটো রিক্সা চালকদের কাছে জিম্মি থাকে বাহির থেকে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে অনেক বাস। জানা গেল, তারা সবাই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অভিভাবকের সঙ্গে এসেছেন। বাসগুলো চুক্তিভিত্তিক ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের পরিবার থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা।
মিনহাজ সিজান নামে একজন ছাত্র জানিয়েছেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলা থেকে ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী তাদের অভিভাবকের সঙ্গে একটি বাস রিজার্ভ করে রাজশাহীতে এসেছেন। তারা রাত আড়াইটার সময় রওনা দিয়ে ভোর ৫টায় পৌঁছেন। দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত তারা বাসেই অবস্থান করেন। পরে তারা ফুটপাতে অবস্থান নেন, অনেকে বাসেই থেকে যান।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার নিমিত্ত কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটনের পুলিশ সদস্য আনিছুর রহমান জানান, পরীক্ষা চলাকালীন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনের অর্পিত ক্ষমতাবলে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের চতুর্দিকে ২০০ (দুইশত) গজের মধ্যে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, বিক্ষোভ প্রদর্শন, মাইকিং, বিস্ফোরকদ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র বহন এবং ৪ (চার) জনের অধিক একত্রে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরপি/যেডএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: