‘বঙ্গবন্ধুর একটি ভাষণ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ’
বঙ্গবন্ধুর একটি ভাষণ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ মন্তব্য করে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক বলেছেন, একটি ভাষণ একটি জাতির মুক্তির সনদ হতে পারে, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে যথাযথ ভূমিকা পালনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কলেজের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মর্মার্থ, তাৎপর্য আমাদের অনুধাবণ করতে হবে। ৭ মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি ইতিহাস চর্চায় শিক্ষার্থীদের আহবান জানান তিনি। এছাড়াও তার বক্তব্যে ৭ ই মার্চ সহ ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। ৭মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও দেশকে জাতিকে শোষণ মুক্ত করার পথ দেখিয়েছেন। যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে মুক্তিযোদ্ধারা উদ্দীপ্ত হতো। এই ভাষণের পর থেকেই সবধরনের আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়।
দিবসটি উপলক্ষে দেশসেরা কলেজটি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা,পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
এছাড়া সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর কলেজ মিলনায়তনে ইতিহাস বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এর তাৎপর্য শীর্ষক' আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনের কবিতা গান ও আলেখ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ শাহ তৈয়বুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোসাঃ ইয়াসমীন আকতার সারমিনসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আরপি/ এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: