রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


বসন্তে সেজেছে রাজশাহী কলেজ


প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:১৮

আপডেট:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২০

বসন্ত বরণে সেজেছে রাজশাহী কলেজ

ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে প্রকৃতির মাঝে লেগেছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্ত আসার আগেই প্রকৃতি যেন তার আপন সাজে সেজে ওঠেছে। নানান রঙের ফুলে ভরপুর হয়েছে বৃক্ষরাজি। শীতের শেষেই গাছে গাছে ফুলের দেখা মিলেছে। পলাশ ফুল যেন প্রকৃতির বধূর রূপে হাজির হয়েছে নতুন রূপে। কৃষ্ণচূড়া, বট-ঐশত, গগনবিহারী মেতেছে ফাগুনের হাওয়ায়।
প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে দেশসেরা রাজশাহী কলেজ।

বাঙালী সংস্কৃতি ও লোকশিল্পের অন্যতম কারুকাজ আলপনার বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে রাজশাহী কলেজ। বসন্তকে বরণ করে নিতে আলপনার কারুকাজে কলেজ কে নতুন রূপে সজ্জিত করে তুলেছে কলেজের বাংলা বিভাগের অন্যতম সংগঠন অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদ ও কলেজ কর্মচারীবৃন্দ। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টাতে রংতুলির নিখুঁত ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠেছে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস।

কলেজের প্রধান ফটক প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে অগ্নিবীণা সংগঠনের সদস্যদের হাতের ঐশ্বরিক সৌন্দর্যে আলপনা তে সেজেছে কলেজ। এছাড়াও ফুলার ভবন, হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবন, শেখ রাসেল দেয়ালিকা এবং রবীন্দ্র -নজরুল চত্বরে শোভা পেয়েছে রংতুলির নিখুঁত ছোঁয়ায় আঁকা এই অভাবনীয় সৌন্দর্যের কারুকাজ আলপনা।

অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদের সদস্যরা জানান, ঋতুরাজ বসন্ত কে বরণ করে নিতে প্রতিবছর কলেজকে তারা আলপনা তে সেজে তোলেন। প্রতি বছরের ন্যায় এইবার ও আলপনা একেঁ কলেজ কে দৃষ্টিনন্দন রূপে সেজে তোলা হয়েছে।

কুলেজ প্রশাসন জানায়, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল খালেকের নির্দেশনায় বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের তত্বাবধানে অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদের ৩০ জন সদস্য কলেজে আলপনা আঁকার কাজে অংশ নেন। দৃষ্টিনন্দন এই আলপনা তে মৌলিক পাচ রঙ সাদা, লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙ স্থান পেয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করে সারাদিন আলপনা আঁকছে। আজ যারা আলপনায় হাত বাড়িয়েছে, তারা কেউ পাকা শিল্পী নয়। এটা তারা করছে ভালোবাসা থেকে, ভালোলাগা থেকে। আলপনায় তারা যেভাবে বসন্তের আমেজ ফুটিয়ে তুলেছে তা দেখে আমি অভিভূত। আলপনা যারা আঁকছে এবং এর সাথে সহযোগিতার কাজে যারা জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক বলেন, দেশের ইতিহাস থেকে আলপনার ইতিহাস পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক পণ্ডিতই ব্রত ও পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলপনাকে প্রাক-আর্য সময়কার উৎপত্তি বলে চিহ্নিত করেন। তাছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মিনার সংলগ্ন সড়কগুলিতে আলপনা করা হয়। প্রচলিত রীতির আওতার মধ্যে থেকেও অনুষ্ঠান, পটভূমি ও শৈল্পিক কারুকার্যে আলপনার রূপভেদ লক্ষ করা যায়।

সেই ধারাবাহিকতায় বসন্ত উপলক্ষে সবুজ চাদরে লাল বিল্ডিংয়ে মোড়ানো ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীরা সাজাচ্ছে। ক্যাম্পাসকে বিভিন্ন আলপনায় রাঙিয়ে তুলছে তারা। কলেজে চারুকলা নামে কোন বিভাগ না থাকার পরেও শিক্ষার্থীরা এমন কাজে আমাদেরকে বাঙ্গালির শিল্প সাহিত্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যা আমাদের গর্ব।

 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top