রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


বাশারের পাশে গ্রীণ ভয়েস


প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৩

আপডেট:
২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৪

ছবি:রাজশাহী পোস্ট

রাবি:আবুল বাশার। চলতি বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে সে। কিন্তু বাঁধ সাধে দরিদ্রতা। অভাবের সংসারে যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের জন্য যাকে কাজের পিছে দৌঁড়াতে হয় তার জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব হবে কি না এমন চিন্তাই পেয়ে বসে বাশারকে।

কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন। এরই মধ্যে পরিচয় হয় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীণ ভয়েসের সঙ্গে। যেই সংগঠনটির সহায়তায় অবশেষে বাশারের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়। এখন বাশার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।


নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামের ছেলে আবুল বাশার। দুই ভাই আর তিন বোন মিলিয়ে সাতজন সদস্য তাদের পরিবারে। বাবা কলিম উদ্দীন একজন কৃষক। মা আনোয়ারা বেগম একজন গৃহিণী। ২০১৭ সালে শীতল শাহজানিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি-তে ৩.৯০ এবং সাপাহার সরকারি কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এইসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করেন।

পড়ালেখার জন্য ছোট বেলা থেকেই সংগ্রাম করতে হয়েছে বাশারকে। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে, টিউশানি করে নিজের পড়ালেখার খরচ যোগাড় করত বাশার। বাশারের স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারছিল না বাশার। পরে এলাকার জুবায়ের নামের পরিচিত একজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।

তিনি জাহাঙ্গীর নামের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি আলমগীর কবির নামের একজনের ফোন নম্বর দিলেন। আলমগীর কবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগেই পড়েন। আবুল বাশার বলেন, গ্রীণ ভয়েস আমার ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
কথা হয় গ্রীণ ভয়েস এর প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবিরের সঙ্গে। তিনি জানালেন, গ্রীণ ভয়েসে তাঁর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘মজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন শিক্ষা বৃত্তি ফান্ড’ রয়েছেন। সেই ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আবুল বাশারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হতে সাহায্য করা হয়েছে।

 

আরপি/ এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top