রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


রাবির অবৈধ দোকানপাট সরানোর নির্দেশ


প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৭

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (২৫ আগস্ট) সময়সীমা নির্ধারণ করে অস্থায়ী দোকানপাট তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের আশপাশের খাবারের হোটেলসহ সব ধরনের অস্থায়ী দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দোকানদাররা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দোকান ও হোটেল বন্ধের এমন চিত্র দেখা যায়।

স্টেট দপ্তর সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বেশকিছু দোকানপাট গড়ে উঠেছে যার অধিকাংশ দোকানই প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। স্টেডিয়াম মার্কেটের আশপাশে, বিজ্ঞান ভবনগুলোর পাশে, মেয়েদের হলের সামনে, টুকিটাকি চত্বরে, ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে, শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনের সামনে, ইবলিশ চত্বরের পাশে, ডিন’সর সামনে, কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামের সামনে, আমতলাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ৯৮টি অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। অবৈধ এসব দোকানপাট গড়ে উঠায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তেমনি পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। তারই পরিপেক্ষিতে গত ২১ আগস্ট ক্যাম্পাসের অস্থায়ী দোকানপাট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, যারা রাবিতে অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দোকানপাট পরিচালনা করছেন তাদের আগামী ২৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) মধ্যে নিজ দায়িত্বে দোকান সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবে বলে নোটিশ জানানো হয়।

আনোয়ার হোসেন নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি এলাকার এক দোকানি বলেন, দোকান বন্ধ রেখেছি স্যারের (রেজিস্ট্রার) কাছে যাওয়ার জন্য। আমরা গরীব মানুষ কী করে খাব। কাকে দোকান দিবে কাকে দিবে না সেটা প্রশাসন জানে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ আলি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ব্যাঙের ছাতার মতো দোকান গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান আহরণ ও গবেষণা করার জায়গা। অতিরিক্ত দোকানপাটের ফলে পলিথিন, ময়লা আবর্জনা ও দোকানের সামনে বেঞ্চের সারি যা ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছে।

অবৈধ দোকান উচ্ছেদ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারে নূর বলেন, অতিরিক্ত দোকানপাটের ফলে ক্যাম্পাসে এলোমেলো পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি একটি গঠনের মধ্যে নিয়ে আসতে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে পয়েন্টে পয়েন্ট স্টল নির্মাণ করা হবে।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top