রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বেরোবি প্রক্টরের এক ব্যানারেই তিন ভুল, চলছে সমালোচনা


প্রকাশিত:
২২ জুন ২০২১ ০৬:১৫

আপডেট:
২২ জুন ২০২১ ০৬:১৬

ফাইল ছবি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে প্রবেশের বিষয়ে প্রক্টরের দেয়া নোটিশের এক ব্যানারেই ৩ টি বানানের ভুল লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মাঝে চলছে নানা সমালোচনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এবং ক্যাম্পাসের ভিতরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই ব্যানার টানানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত ব্যানারটিতে প্রথম লাইনেই স্বাস্থ্য বানানে, ক্রমিক ৩নং ও ৪নং এ সন্ধ্যা বানানে ভুল দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এরকম ভুল মোটেই কাম্য হতে পারে না এবং এটি একটি অদক্ষতার পরিচয় বলে পোস্ট করেছেন অনেকেই।

আরিফুর রহমান নামে একজন লিখেছেন প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যানারে এভাবে দিনে-দুপুরে বানান ভুল! মানা যায়? সাজ্জাদ হোসাইন নামে একজন কমেন্ট করেছেন, গেটের বাইরে যে ব্যানার টাঙানো হয়েছে এগুলো যখন বাইরের লোকজন পড়বে তখন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তাদের মনে কি ইমপ্রেশন তৈরি হবে ?

রাসেল রানা নামে আরেক শিক্ষার্থী লেখেছেন, ‘স্বাস্থ’ (স্বাস্থ্য) নিজেই ঝুঁকিতে আছে। ‘সন্ধায়’ (সন্ধ্যায়) দেখতে আইসেন।

এদিকে, ক্যাম্পাসে প্রবেশের ব্যাপারে যে বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও সমালোচনা করেছেন অনেকেই।

শিক্ষার্থীরা ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে আইডি কার্ড দেখানো লাগবে কিন্তু যাদের আইডি কার্ড নেই তারা কিভাবে প্রবেশ করবে? আবার ফ্যামিলির কোন ভাই, বোন বা বন্ধু সার্কেল যদি ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসতে চান তাহলে তাদেরকে কিভাবে প্রবেশ করানো হবে? আবার সন্ধ্যা ৭টার পরে কেন প্রবেশ করানো যাবে না এ বিষয়েও সমালোচনা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সাইফুল ইসলাম সানু নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করে বলেছেন, এটা শিক্ষকদের জন্য ছাত্ররা কি করবে ওখানে? আরেকজন লিখেছেন, মনে হচ্ছে না এই বিশ্ববিদ্যালয়টা শিক্ষার্থীদের জন্য।

মো. শাহাজাদা হোসাইন নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ম-কানুন দ্বারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হচ্ছে। কেন ভাই? আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকেই ঢুকতে আইডি কার্ড লাগবে কেন? এটা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি স্কুল ?

এ বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা সম্পর্কে আমি অবগত আছি। এই বানান ভুলে আমিও মর্মাহত। অবশ্যই আমারও খারাপ লেগেছে। শিক্ষার্থীদেরও খারাপ লাগার বা মর্মাহত হ্ওয়ার অধিকার আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরমাল কোন বিষয়ে বানান ভুল অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরেই ব্যানারটি চেঞ্জ করেছি। আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল তবে এবার আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে বানাইছি। বিষয়টিতে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।

 

 

আরপি/এসআর-১৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top