রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


গৌরবের দশম বছরে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি


প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৫৩

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৮

আরসিআরইউ

সত্য, সংগ্রাম, ঐক্য এবং ঐতিহ্যের বলে বলীয়ান হয়ে গুটি গুটি পা পা করে ১০ম বছরে পদার্পণ করেছে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি (আরসিআরইউ)।

ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠে গড়ে উঠা সংগঠনটি দীর্ঘ ৯ বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ সততা, সাহসিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সুশীল সমাজের নিকট তুলে ধরার পাশাপাশি রাজশাহী কলেজের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চিত্র ফুটিয়ে তুলে ক্যাম্পাসসহ সমগ্র রাজশাহীবাসীর মনিকোঠায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

একটা সময় শুধুমাত্র পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাহিরে সাংবাদিকতা বিভাগ না থাকায় সাংবাদিকতায় আগ্রহী হলেও সাংবাদিকতা চর্চা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে সাংবাদিকতা করা বা শেখার কোন সুযোগ ছিল না বললেই চলে। স্বভাবতই কলেজ ক্যাম্পাসগুলোর সংবাদ সংগ্রহ করতেন ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট এলাকার মূলধারার সাংবাদিকরা। কিন্তু গত এক দশকে সেই অবস্থার ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজেও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা হচ্ছে। আর সেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চার অন্যতম একটি সংগঠন আরসিআরইউ।

শুধু তাই নয়, রাজশাহী কলেজ শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উভয় র‌্যাংকিংয়ে পর পর চার বার দেশসেরা কলেজ নির্বাচিত হয়েছে। পাশাপাশি পেয়েছে মডেল কলেজের স্বীকৃতিও। যার পেছনে একটি বড় অবদান রয়েছে গণমাধ্যমের। আর এটার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সংগঠনটি। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ‘সত্যের সন্ধানে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ১১ জন কার্যকরী সদস্যের হাত ধরে কলেজের কৃষ্ণচূড়া তলায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী সংগঠনটি।

প্রতিষ্ঠালগ্নে নির্দিষ্ট জায়গাবিহীন, কার্যালয়হীন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা হতো গাছতলায়। প্রবল ইচ্ছাশক্তি, প্রচন্ড কর্মস্পৃহা, কঠোর সাধনা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ আর দক্ষ নেতৃত্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাম্পাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র, শিক্ষক থেকে শুরু করে সকলের আস্থা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে আরসিআরইউ। প্রতিষ্ঠার অল্প সময়েই বেশ কিছু গণমাধ্যমকর্মী তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি। যারা তাদের মেধা, শ্রম, কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুনামের সাথে কাজ করছেন। ঐক্য, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের ধারায় সদা বহমান সংগঠনটি প্রতি বছর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন আয়োজন করলেও করোনা মহামারীর কারণে ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতেও হচ্ছে না সেই আয়োজন।

এর আগে ৮ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানও সময়মতো অনুষ্ঠিত হয় নি করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে। পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারীতে বর্ষপূর্তি ও নতুন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। এবিষয়ে আরসিআরইউ সভাপতি এম ওবাইদুল্লাহ বলেন, পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির ৯ম বর্ষপূর্তি উদযাপন সম্ভব হচ্ছে না। আশা করি, শীঘ্রই পরিবেশ স্বাভাবিক হলে আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করবো। এসময় তিনি ৯ম বর্ষ পূর্তি ও ১০ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে ইউনিটির সকল নির্বাহী সদস্য, সদস্য, সহযোগী সদস্য, উপদেষ্টামন্ডলী, কলেজ প্রশাসন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, রাজশাহী কলেজের সকল সহশিক্ষা সংগঠন, শিক্ষার্থী, শুভাকাঙ্খী ও সাংবাদিকবৃন্দকে রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল বিদ্যুৎ বলেন, ৯ বছর পেরিয়ে ১০ বছরে পা রাখলো প্রাণপ্রিয় সংগঠন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি (আরসিআরইউ)।

সবার সহযোগীতায় এই স্বল্প সময়ে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আরসিআরইউ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। যাদের শ্রম, মেধা ও কর্মদক্ষতায় আরসিআরইউ আজকের অবস্থানে এসেছে তাদের সকলের প্রতি জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা। বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক, প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমানসহ কলেজ প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুপ্রেরণায় রিপোর্টার্স ইউনিটি আজ সমৃদ্ধি লাভ করেছে। তাদের সহযোগীতা ছাড়া এতটা সম্ভব হতো না।

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top