রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বাংলোতে ডেকে আ’লীগ নেত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ


প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২১ ০৩:৪৬

আপডেট:
১০ জুন ২০২১ ০৩:৪৬

ফাইল ছবি

বগুড়ার ধুনটে আওয়ামী লীগ নেত্রীকে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাংলোতে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান ধুনট থানায় উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাই খোকনের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের স্ত্রী সুলতানা জাহান উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য। রাজনীতির সুবাদে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই খোকনের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে।

খোকন প্রায় দুই বছর আগে সুলতানা জাহানের কাছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেন। ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও দেড় লাখ টাকা আজও দেন নি। সুলতানা জাহান বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে নালিশ করলে তিনি (খোকন) বুধবার টাকা ফেরত নিয়ে তার সরকারি বাংলোতে আসতে বলেন।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে সুলতানা জাহান চেয়ারম্যানের বাংলোতে গেলে তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তার চিৎকারে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় সুলতানা জাহান ধুনট থানায় উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, আওয়ামী লীগ নেত্রীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্মকর্তাদের তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকনের বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি, শ্রমিক নিয়োগ, জলমহাল, বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সরকারি প্রকল্প বিক্রিসহ তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে আবু বক্কার, আব্দুল হাই, একরাম সরকার, আলমগীর হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও গোলাম মোর্শেদ বুলবুল তার বিরুদ্ধে ধুনট থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন।

ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন আলম জানান, অল্প সময়ে রাজনীতিতে উঠে আসায় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন আব্দুল হাই খোকন। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

 

 

 

 


আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top