রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

ডেস্কটপ আইটি’র এ্যাপে শিক্ষার্থীদের সহজ অনলাইন ক্লাস


প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২০ ০২:৫৮

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৯

ছবি : সাংবাদিকদের সাথে ডেস্কটপ আইটি’র আলোচনা

বৈশ্বিক সংকট করোনাকালীন চলমান শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের জটিলতা নিরসন করবে ‘ডেস্কটপ আইটি’র একটি এ্যাপ।

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্যই দিয়েছেন ডেস্কটপ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা খালেদ লিজার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষা কার্যক্রমের এই স্থবিরতা কাটাতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু কোনো বিষয় বুঝতে না পারলে লাইভ শেষে শিক্ষার্থীদের আর কিছু করার থাকে না। এর সমাধান নিয়ে এসেছে ‘ডেস্কটপ আইটি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

সরাসরি নয়, অফলাইনে ডেস্কটপ আইটির একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে। অবশ্য সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে হবে ইন্টারনেটে। এছাড়াও সফটওয়্যারটিতে সবকিছুই রেকর্ড থাকবে। শিক্ষার্থীরা যখন খুশি সেখানে ঢুকে পড়াশোনা করতে পারবে। কোন শিক্ষার্থী কতটুকু পড়েছে তাও নজরে রাখতে পারবেন শিক্ষকরা।

ডেস্কটপ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা খালেদ লিজার জানান, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এই সংকটকালে ডেস্কটপ আইটি একটি অত্যাধুনিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে। এই সিস্টেমে রয়েছে শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ। অফলাইনে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ কোর্সকে সিলেবাস অনুযায়ী সাজানোর জন্য রয়েছে কোর্স ডিজাইন অপশন। একজন শিক্ষার্থী একটি বিষয়ে কতটুকু শিখলো তা জানার জন্য রয়েছে স্মার্ট লার্নিং ট্র্যাকিং সিস্টেম। একই সিস্টেমে শিক্ষকরা হোম ওয়ার্ক প্রদান করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীরা তা সম্পূর্ণ করে আবার পাঠাতে পারবে। অডিও, ভিডিও, বার্তাসহ যেকোন প্রকারের ফাইল শেয়ারিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার জন্য রয়েছে কুইজব্যাংক সুবিধা।

তিনি আরও জানান, এ সফটওয়্যারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চ্যাটবক্স ও ফোরামের মাধ্যমে মতবিনিময়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়াও আছে অত্যাধুনিক ক্যালেণ্ডারের মাধ্যমে আগামী দিনের জন্য যে কোন প্রকার ইভেন্ট সিডিউল করা যাবে। সিস্টেমটিতে ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ইউজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। কাস্টমাইজড গ্রেডিং সিস্টেম এবং শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করার জন্য রয়েছে ফিডব্যাক টুলস। এটি দিয়ে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম খুব সহজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি।

খাজা খালেদ বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করার লক্ষে ডেস্কটপ আইটি বিগত পাঁচ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করে এই সিস্টেমটি তৈরী করেছে। এই প্রক্রিয়ায় লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক, মাইক্রোসফট এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বব্যাপী ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহার করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ডেস্কটপ আইটির এই সিস্টেমে ইতোমধ্যে রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলসহ আরও বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনাকালীন সময়ে তাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজ শুরু করেছে। খুব সহজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এটি ব্যবহার করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডেস্কটপ আইটির কাস্টমার রিলেশান অফিসার সরোয়ার সাকলায়েন, এডমিন মাহমুদ হোসেন, অ্যকাউট্যান্ট আশিক-উজ-জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ডেস্কটপ আইটির। ১৯৯৮ সালে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডোমেইন, হোস্টিং ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করে। ১৯৯৯ সালে কম্পিউটার সেলস ও সার্ভিসিং সংযুক্ত হয়। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহীতে প্রথম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস চালু করে। ২০০৪ সাল থেকে তারা কর্পোরেট পর্যায়ে আইটি কনসালটেন্সি, সার্ভার ইন্সটলেশান, ল্যান ও ওয়ান নেটওয়ার্কিং, সিসিটিভি-আইপি ক্যামেরা, আইপি পিবিএক্স এবং স্পেশালাইজড ট্রেনিং নিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও ২০০৭ সাল থেকে তারা আর্কাইভস ও ডিজিটাল আর্কাইভস নিয়েও কাজ করছে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ভারতের কলকাতা ও আমেরিকায় ডেস্কটপ আইটির অফিস রয়েছে।

 

আরপি/আআ-১৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top