রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে চারঘাটের কৃষকরা


প্রকাশিত:
২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৮

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৮

দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে কৃষকদের কাটফাটা রোদ বা ঝড়-বৃষ্টির বাধাকে অতিক্রম করে ফসল আবাদ করতে হয়। দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে যারা মূখ্য ভুমিকা পালন করছেন আজ তারাই সচেতনতার অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাষাবাদ করেছেন।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় প্রায় ৪১ হাজার কৃষক রয়েছে। কৃষকরা সাধারণত ধান, গম-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা খেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক (বিষ) দিয়ে থাকেন।

সঠিক পরামর্শের অভাবে নিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এখানকার কৃষকরা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, নিরাপদ পদ্ধতি ছাড়া কীটনাশক ব্যবহার চরম বিপদজনক এবং এতে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

নিমপাড়া ইউনিয়নের কৈডাঙা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন থেকে অপরের জমিতে আধি হিসেবে চাষাবাদ করে আসছি। চলতি মৌসুমে জমির মালিকের কাছ থেকে ৪ বিঘা জমি আধি নিয়ে আবাদ করছি।

চারা রোপণের পর এ সময়টা বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করতে জমিতে কীটনাশক (বিষ) দিয়েছি।

নিরাপত্তা বা এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কীটনাশক ছিটানোর সঠিক কোন পদ্ধতি আমার জানা নেই বা কেউ পরামর্শও দেয়নি। কীটনাশক ছিটানোর সময় খুবই দুর্গন্ধ হয়। ছিটানোর পর প্রচণ্ড মাথা ঘোরে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধাও দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে থাকি।

জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শহীদুল ইসলাম রবিন বলেন, মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লোভস ব্যবহার না করে কেউ কীটনাশক স্প্রে করলে তিনি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়াও ওই ব্যক্তি মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো, বমিবমি ভাব, চর্মরোগ, চোখ ও শরীরে এলার্জি, শ্বাসকষ্ট এমন কি ফুসফুসে বড় ধরণের রোগও হতে পারে।

তিনি বলেন, কীটনাশক ব্যবহারের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী আমরা মাঝে মধ্যে পাই। বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর দরকার।

এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, বিভিন্ন উঠান বৈঠকে আমি নিজেই কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হবার পরামর্শ দিই। কারন কিটনাশক শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে সরকারী ভাবে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেবার ব্যবস্থা নেই। কৃষকরা নিজে থেকে সতর্ক না হলে কীটনাশকের অপব্যবহার রোধ সম্ভব না।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top