রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহীতে ৫ হেক্টর জমির মরিচ আবাদ নষ্ট


প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২০ ২০:০৯

আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৩

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিরুপ আবহওয়ায় এ মৌসুমে মরিচ আবাদ করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রাজশাহীর চাষীরা। বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে ৫ হেক্টর জমির মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে।


রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এ মৌসুমে রাজশাহী মরিচের আবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৩ হেক্টর। যার ৫ হেক্টর জমির মরিচ পুরোটায় নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অবশিষ্ট মরিচ আবাদের ২০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।


মরিচের আবাদ উঁচু জমিতে করা হলেও বিগত কয়েক বছরে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিচু জমিতেও অনেকেই মরিচের চাষ করেছিলেন। এবার বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় পচনসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপে অনেক চাষির পুরো আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের কমেছে ফলন। এতে স্থানীয় বাজারে মরিচের দর বাড়তি।


পবা উপজেলার মধুপুর এলাকার কৃষক ইয়ামিন আলী জানান, ধানের চেয়ে মরিচের আবাদ লাভজনক। এখানে ধানের চেয়ে খাটুনিও কম। এবছর তার ৩ বিঘা মরিচ ছিলো। প্রথম দিকে গাছ ভালো থাকলেও বৃষ্টির কারণে গাছ নষ্ট হতে শুরু করে। স্থানীয় ডিলারদের পরামর্শে বিষ ও কিটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত গাছ কেটে ফেলতে হয়। এ মৌসুমে মরিচ আবাদে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।


কৃষক সাদ্দাম আলী জানান, তার ২ বিঘা মতো জমিতে মরিচ ছিলো। বৃষ্টির কারণে তার জমিতে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়। পরে আবার প্রচুর রোদ। এতে পুরো জামির আবাদ নষ্ট হয়ে যায়। সার-বিষ প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হয়নি।


(১৭ আগস্ট) সোমবার স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের এ ক্ষতির প্রভাবে স্থানীয় বাজারে কমছে না মরিচের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। এদিন প্রতিকেজি মরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ মাসে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরেও মরিচ বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

নগরীর সাহেব বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা লিটন আলী জানান, ইদুল আজহার আগে থেকেই মরিচের দাম বাড়তি। ইদের পর আজকে ২০০ টাকার নিচে মরিচ বিক্রি হলো। এরমধ্যে প্রতিকেজি মরিচ ২০০ টাকার নিচে নামেনি।


এদিকে, মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক কৃষক খুশিও হয়েছেন। তারা বলছেন, কয়েকটি ফসল ছাড়া এখন আবাদ করে তেমন লাভ নাই। এর মধ্যে আছে গাছ নষ্ট হওয়ার মতো বিষয়। অনেক যন্ত্র নেয়ার পরেও এ বছর অনেকের গাছ নষ্ট হয়েছে। তবে, এ কয়েকদিনে যারা মরিচ তুলতে পেরেছেন তারা লাভবান হচ্ছেন।


এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, রাজশাহীতে প্রতিবছর ১ হাজার ৮৭৩ হেক্টর এর কিছু কম-বেশি আবাদ হয়ে থাকে। যে বছর অতিবৃষ্টি বা বন্যা হয় সে বছর মরিচের ক্ষতি হয়। ফলন কমে যায়। এ বছরও ক্ষতি হয়েছে। যার কারণে দাম বাড়তি। তবে সামনে দাম কমে আসবে। কারণ অনেকে নতুন করে আবার মরিচের আবাদ করছেন।

আর পি / আই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top