রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


পেঁয়াজের সঙ্কট

প্রতিকেজির দাম বাড়তে পারে ৫ থেকে ১০ টাকা


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৭

আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৭

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আফতাব উদ্দিন বলেন,‘মামা সামনে সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে। আঁড়তের পচা পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি। কিনতে গেলে আড়তে পেঁয়াজ নাই, জমিতে লাগানোর সময়ও এসে গেছে। আগের অভিজ্ঞতা বলে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে।’

দাম বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আড়তের একটি ভাউচার দেখিয়ে বলেন, ৪৪ কেজির বস্তা ৩৮ টাকা দর হলে ১৬৭২ টাকা হয়। ৪০-৪২ টাকা দরে ইন্ডিয়ান আর ৪৬ টাকা কিনে ৫০ টাকা বিক্রি করছি দেশি পেঁয়াজ। কত লাভ হয় বলেন?

রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী মীম বলেন, ‘বাজারে নতুন সবজির দাম বেশি। কাঁচামরিচের দাম কমেছে। পেঁয়াজের মান ভাল না কিন্তু, উপায় নেই ৫০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য জিনিসের দাম ঠিকই আছে।’

শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বাজারে নতুন সবজির আনাগোনা দেখা দিয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো ১২০ টাকা এবং সজিনা ডাটা ১৬০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, পাতাকপি ১০০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, গাঁজর ১২০ টাকা দরে হচ্ছে।
বাজারে কমেছে কাঁচা সবজির দাম। প্রতিকেজি আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপেঁ ৩০ টাকা, শশা ২০-২৫ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৬-৮ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একইসাথে দাম কমেছে আদা- রসুনের। প্রতিকেজি আদা-রসুন ১৫০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।


মাছের বাজরে তেমন হেরফের দেখা যায়নি, ইলিশ রকমভেদে ৭০০- ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম মাছের মধ্যে কাতল ২৬০-৩০০ টাকা, রুই ১৬০-২২০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা, শোল ৫০০-৬০০ টাকা, টেংরা ৪৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা, সোনালী ১৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানান মুরগি বিক্রেতারা। গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতিকেজি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়।

অপরদিকে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। পারিজা ৩২ টাকা, আঠাশ রকমভেদে ৩৬-৪২ টাকা, চিনিগুড়া আতপ রকমভেদে ৬০-১০০ টাকা, দেশি বাংলামতি চাউল ৬০ দরে বিক্রি হয়েছে।

মেসার্স আমজাদ হোসেন স্টোর থেকে জানা যায়, ভোজ্য তেলের দাম রয়েছে আগের মতোই। সয়াবিন তেল ৮০ টাকা। সেইসাথে প্রতিকেজি খোলা আটা ৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০৫ টাকা, বিদেশি মসুর ৬০ টাকা, মটর ডাল ৬৫ টাকা, এ্যাংকর ডাল ৪০ টাকা, খেসারি ডাল ৬০ টাকা, সোনা মুগ ডাল ১২০ টাকা, বুঁটের ডাল ৮০ টাকা, মটর ৩৬ টাকা, প্রতি একশগ্রাম জিরা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

 

 

আরপি/এমএইচ

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top